পিএনবি আর্থিক কেলেঙ্কারিতে অভিযুক্ত নীরব মোদীর প্রত্যর্পণে সবুজ সংকেত দিল ব্রিটেনের আদালত। বিচারক স্পষ্ট ভাষায় জানান, ভারতীয় বিচারব্যবস্থার মুখোমুখি হতে হবে আর্থিক দুর্নীতিতে জড়িত ওই ব্যবসায়ীকে। ব্রিটেন আদালত জানিয়ে দিল, নীরব মোদীকে অভিযুক্ত প্রতিপন্ন করা যেতেই পারে।বৃহস্পতিবার ওয়েস্টমিনস্টার ম্যাজিস্ট্রেটস কোর্টে শুরু হয় প্রত্যর্পণ মামলার শুনানি। দক্ষিণ–পশ্চিম লন্ডনের ওয়ান্ডসওয়ার্থ জেল থেকে ভিডিও কনফারেনসিংয়ের মাধ্যমে হাজিরা দেন নীরব মোদী।
নীরব মোদীর ভারতে ফেরার সম্ভাবনা নিয়ে চাপানউতোর চলছে বহু সময় কেটে গেল। নীরব ভারতে ফিরবেন কিনা, তা নিয়ে বৃহস্পতিবারই কোনও নির্দেশ শোনাতে পারে ব্রিটেনের আদালত বলে সম্ভাবনা তৈরি হয়েছিলই। সেই সম্ভাবনাই সত্য হল। শুনানির জেরে রায় দিতে গিয়ে বিচারক স্যামুয়েল গুজ জানিয়ে দিলেন, তিনি সন্তুষ্ট যে, এই মামলায় এমন তথ্যপ্রমাণ আছে যার বলে মোদীকে অভিযুক্ত প্রতিপন্ন করাই যেতে পারে।
প্রত্যর্পণ ঠেকাতে তাঁর আইনজীবী যুক্তি দেন, মানসিকভাবে নীরব সুস্থ নন। জোর করে ভারতে পাঠালে তিনি আত্মহত্যা করতে পারেন। তবে এই যুক্তি ধোপে টেকেনি। শুনানি শেষে বিচারক স্যামুয়েল গুজ বলেন, ‘ভারতে পাঠালে নীরব মোদী আত্মহত্যা করতে পারেন এমনটা মনে করার কোনও যুক্তি নেই। তাছাড়া, মুম্বইয়ের অর্থার রোড জেলে সমস্ত চিকিৎসা তিনি পাবেন। ভারতীয় বিচারব্যবস্থার মুখোমুখি হতে হবে তাঁকে।’
উল্লেখ্য, ২০১৮ সালে পাঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্কে ১৩ হাজার ৫০০ কোটি টাকা তছরুপের অভিযোগ ওঠে হিরে ব্যবসায়ী নীরবের বিরুদ্ধে। সে বছরই ইডি নীরব মোদীকে ভারতে চেয়ে ব্রিটিশ সরকারের কাছে আর্জি জানায়। তাঁর বিরুদ্ধে জারি হয় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা। ২০১৯ সালের ১৯ মার্চ তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর দু’বছর ধরে নীরবের ভারত প্রত্যর্পণ নিয়ে মামলা চলছে ওয়ান্ডসওয়ার্থ আদালতে।