দেশ ব্রেকিং নিউজ

৯জন জঙ্গির বিরাট ছক ছিল!

এনআইএ’‌র হাতে যে ৯ জন আল–কায়দা জঙ্গি ধরা পড়ল তাদের সম্পর্কে পাওয়া গেল চাঞ্চল্যকর তথ্য। দৃশ্য এক—অন্তর্তদন্তে নেমে জানা গেল, এই ৯ জন জঙ্গি কয়েকদিনের মধ্যেই কাশ্মীর রওনা দিত। কারণ আল–কায়দার শীর্ষ কমান্ডাররা তাদের কাশ্মীরে গিয়ে অস্ত্র পৌঁছে দেওয়ার টাস্ক দিয়েছিল। অস্ত্রশস্ত্র গোছাতে শুরু করেছিল তারা। ৯জন জঙ্গিকে জেরা করে এই তথ্য হাতে পেয়েছে এনআইএ।
দৃশ্য দুই—আল–কায়দার এই মডিউল দেশের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় হামলার ছক কষেছিল। হামলার জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ সংগ্রহের কাজও করছিল। দিল্লিতেও হামলার ছক কষেছিল ধৃতরা। ধৃতদের মধ্যে কয়েকজনের দিল্লি যাওয়ার কথা ছিল। সেখানে কারও থেকে অস্ত্র কিনে সেগুলি কাশ্মীরে পৌঁছে দিত তারা বলে জানতে পেরেছে এনআইএ।
দৃশ্য তিন—২২ বছরের নাজমুস সাকিব ডোমকল বসন্তপুর কলেজের কম্পিউটার সায়েন্স বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র। ডোমকলের গঙ্গাদাস পাড়ার বাসিন্দা নাজমুস সাকিবের বাড়িতে হানা দেয় এনআইএ। দরজা খুলে দেয় নাজমুস সাকিবের বাবা। পরিবারের কাছে জানতে চায়, নাজমুস কোথায়? তখন বাড়িতে ছিল নাজমুস। বাড়ি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে গোয়েন্দারা।
দৃশ্য চার—নাজমুশের মা বিশ্বাস করতে পারছেন না, ছেলে আল–কায়দা জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত। তাঁর কথায়, ছেলে ধর্ম নিয়ে বেশি থাকত। হতবাক এলাকাবাসীও।
দৃশ্য পাঁচ—লিউ ইয়ান আহমেদ। বয়স ৩৫ বছর। ধৃত লিউ ইয়ান আহমেদও ডোমকলের বাসিন্দা। ডোমকলের জয়রামপুরে বাড়ি ধৃত জঙ্গির। ৩৫ বছরের লিউ ইয়ান আহমেদ পেশায় ইলেকট্রিশিয়ান। এই প্রথম সরাসরি আল–কায়দা যোগে রাজ্য থেকে গ্রেপ্তার জঙ্গি।
দৃশ্য ছয়—ধৃত জঙ্গিরা ডার্ক ওয়েব ব্যবহার করে যোগাযোগ রাখত। পাকিস্তানের সঙ্গে সরাসরি কথা হতো ধৃত জঙ্গিদের। ধৃতদের কাছ থেকে ৪টে পাকিস্তানের সিম উদ্ধার করেছেন গোয়েন্দারা। নাশকতার পরিকল্পনা, টাকা লেনদেন, লজিস্টিক লেনদেন সবই চলত এই ডার্ক ওয়েবের মাধ্যমে।
দৃশ্য সাত—এদের বলা হতো লোন উল্ফ। একক হামলাকারী। একবার কাউকে লোন উল্ফ বানানো হয়ে গেলে তারপর আসতে শুরু করত নির্দেশনামা। আইডি থেকে আরম্ভ করে বিভিন্ন ধরনের বিস্ফোরকের মশলা কোথায় পাওয়া যায়, কোথা থেকে কিনবে, কোথায় পাঠাবে, সব নির্দেশ আসত ডার্ক ওয়েবের মাধ্যমে।
দৃশ্য আট—এই লোন উল্ফদের করাচি থেকে নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছিল। এই লোন উল্ফরা স্থানীয় থিয়েটার, সিনেমা হল, রেস্তোরাঁ বা বাজারে হামলা চালাত। একেবারে বড় টার্গেট নয়, ছোট ছোট টার্গেট করে হামলার মাধ্যমে মানুষের মনে আতঙ্ক সৃষ্টি করা এদের কাজ।