Prominent writer and journalist Nimai Bhattacharya passed away in Corona. He breathed his last at his home in Tollyganj on Thursday morning. He was 69 years old at the time of his death. Nimaibabu had been suffering from geriatric illness for several years.
ব্রেকিং নিউজ রাজ্য

নিমাই ভট্টাচার্যের জীবনাবসান

করোনা আবহে চলে গেলেন বিশিষ্ট সাহিত্যিক তথা সাংবাদিক নিমাই ভট্টাচার্য। বৃহস্পতিবার সকালে টালিগঞ্জের বাড়িতে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৯ বছর। বেশ কয়েক বছর ধরেই বার্ধক্যজনিত অসুস্থতায় ভুগছিলেন নিমাইবাবু। ১৯৩১ সালের ১০ এপ্রিল বাংলাদেশের মগুরা জেলার সরশুনা গ্রামে জন্ম হয় তাঁর। ১৯৪৮ সালে ম্যাট্রিক পাশ করে কলকাতার রিপন কলেজে ভর্তি হন। কলেজে পড়তেই সাংবাদিকতা শুরু করেন তিনি।
তারপর ১৯৫০ সালে ‘লোকসেবক’ পত্রিকা দিয়ে সাংবাদিকতা শুরু তাঁর। দিল্লিতে গিয়ে বেশ কয়েকটি কাগজের হয়ে সংসদ, কূটনৈতিক এবং রাজনৈতিক প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করেছেন তিনি। ১৯৮০ পর্যন্ত ৩০ বছরের সাংবাদিকতা জীবন ছিল তাঁর। দীর্ঘ সাংবাদিকতা জীবনে জওহরলাল নেহরু, লাল বাহাদুর শাস্ত্রী, ভি কে কৃষ্ণমেনন, মোরারজী দেশাই, ইন্দিরা গান্ধী–সহ অনেকের স্নেহভাজন ছিলেন তিনি।
সাহিত্যগুলির আড়ালে ঢাকা পড়ে গিয়েছে দীর্ঘ সাংবাদিক জীবন। ১৯৬৩ সালে তার লেখা একটি উপন্যাস কলকাতার সাপ্তাহিক অমৃতবাজার পত্রিকায় প্রথম প্রকাশিত হয় এবং তা ব্যাপক প্রশংসা অর্জন করে। তার চারটি উপন্যাস একই পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। ‘মেমসাহেব’ তাঁর অন্যতম সৃষ্টি। ‘পিয়াসা’, ‘ম্যারেজ রেজিস্ট্রার’, ‘অষ্টাদশী’, ‘ডিপ্লোম্যাট’, ‘নাচনী’র মতো অসংখ্য উপন্যাস রয়েছে তাঁর।