তল্লাশি অভিযান চলল উপত্যকার একাধিক জায়গায়। একদিকে, জুন মাসে বায়ুসেনার বিমানঘাঁটিতে ড্রোন হামলা, অন্যদিকে জম্মুতে লস্কর–ই–মুস্তাফার নেতৃত্বে সন্ত্রাসবাদী হামলার ছক। দুটি ঘটনায় একসঙ্গেই তল্লাশি অভিযান শুরু করল জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা। আর তাতে বেশ আলোচনা শুরু হয়েছে। এনআইএ যে তদন্ত এবং তল্লাশি করল তা নিয়ে বিস্তারিত কিছু জানায়নি।
শনিবার সোপিয়ান, অনন্তনাগ, সুজয়ান–সহ মোট ১৪টি জায়গায় অভিযান চালিয়েছে এনআইএ। জুন মাসে জম্মুর বিমানঘাঁটিতে ড্রোন হামলা এবং সম্প্রতি জম্মুর মন্দিরে স্বাধীনতা দিবসের আগে হামলার পরিকল্পনা জানার পরই দুই ঘটনার চক্রীদের খোঁজে তল্লাশি অভিযান চালানো হয়েছে।
জুন মাসের ২৭ তারিখ ভোররাতে জম্মু বিমানবন্দরে বায়ুসেনার যে ঘাঁটি রয়েছে, তাতে ড্রোনের মাধ্যমে পরপর দুটি বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। পাক সীমান্ত থেকে ১৪ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত এই বিমানঘাঁটিতে বিস্ফোরণের তদন্তভার তুলে দেওয়া হয় এনআইএ-র হাতে। দুই সপ্তাহ ধরে জম্মুর বিভিন্ন সেনাঘাটির কাছে ড্রোনের নজরদারি, একাধিক জায়গা থেকে বিস্ফোরক উদ্ধার হয়।
ক্রমাগত ড্রোনের মাধ্যমে নজরদারি ও হামলা চালানোর চেষ্টার পিছনে পাক মদতপুষ্ট জঙ্গি সংগঠনগুলিই জড়িত রয়েছে বলে সন্দেহ তদন্তকারী সংস্থার। এই বিষয়ে গত সপ্তাহে ভারত ও পাকিস্তানের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কম্যান্ডার স্তরীয় বৈঠকে পাকিস্তানের তুমুল সমালোচনা করে ও তীব্র প্রতিবাদ জানায় ভারত। অন্যদিকে, জইশ-ই-মহম্মদ জঙ্গিগোষ্ঠীর নির্দেশে লস্কর–ই-মুস্তাফা জম্মুর বিভিন্ন অংশে সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ চালানোর পরিকল্পনা সম্পর্কে জানতে পেরেছে গোয়েন্দা বাহিনী।