বিপদ বাড়ল আরও। জম্মু–কাশ্মীরের বিভিন্ন জেলার অন্তত ৪৫টি জায়গায় জামাত–ই–ইসলামির ডেরায় অভিযান চালাল জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা। যৌথ অভিযানে পুলিশ এবং সিআরপিএফ। রাজধানী শ্রীনগর থেকে শুরু করে ডোডা, বদগাম, বারামুলা, কুপওয়াড়া–সহ একাধিক স্পর্শকাতর এলাকায় চলছে তল্লাশি। পাক জঙ্গিদের অর্থ–সাহায্যের অভিযোগ রয়েছে বলে খবর। এসব এলাকা জঙ্গি হামলার সফট টার্গেট। তাই এখানে গোপন জঙ্গিডেরা থাকার সম্ভাবনাও বেশি।
২০১৯ সাল থেকে ভারতে নিষিদ্ধ পাকিস্তান ও বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত জামাত–ই–ইসলামি। কিন্তু তারপরও চোরাগোপ্তা পথে কাশ্মীর উপত্যকায় এদের শিকড় রয়েছে। সেনা–জঙ্গি গুলিযুদ্ধ, অতর্কিত আক্রমণ—এসব তো চলছেই। নিষিদ্ধ সংগঠন মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে কিনা, তা বুঝে নিতেই এনআইএ’র এই ম্যারাথন অভিযান।
সূত্রের খবর, একযোগে ১৪ জেলার ৪৫টি জায়গায় চলে তল্লাশি। তার মধ্যে সবই প্রায় জামাত জঙ্গিদের ডেরা। এনআইএ-র সিনিয়র ডিআইজি’র নেতৃত্বে বিশাল টিম দিল্লি থেকে ভোরেই উড়ে গিয়েছে শ্রীনগর। তারপর ছোট ছোট দলে ভাগ হয়ে ছড়িয়ে পড়েছেন বিভিন্ন জায়গায়। শ্রীনগর ছাড়াও অনন্তনাগ, সোপিয়ান, পুলওয়ামা, কুলগাম, বদগাম, গান্ডেরওয়াল, বারামুলা, কুপওয়াড়া, বান্দিপোরা, ডোডা, রাজৌরি জেলায় চলছে তল্লাশি।
উল্লেখ্য, গত ৩১ জুলাই কাশ্মীর উপত্যকায় আইইডি বিস্ফোরক উদ্ধারের পর তল্লাশি চালিয়ে লস্করের অন্যতম শীর্ষনেতা হিদায়াতুল্লাহ মালিককে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। তদন্তকারীদের অনুমান, নিষিদ্ধ হওয়ার পর থেকে চোরা পথে লস্কর, হিজবুল জঙ্গিগোষ্ঠীর সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছে জামাত সদস্যরা। তারাই উপত্যকায় হামলা চালানোর ষড়যন্ত্রে পাকিস্তানের এই জঙ্গিগোষ্ঠীদের মদত দেয়।