পর্যটন ব্যবসার আড়ালে মানব পাচারের অভিযোগে এবার উত্তর ২৪ পরগনার বারাসাতে এনআইএ-র হানা। ঘটনায় ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করা হয়েছে এক ব্যবসায়ীকে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত আরও ২ জনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ চালাচ্ছে এনআইএ-র আধিকারিকরা। মঙ্গলবার রাত থেকেই বারাসাত ছাড়াও ত্রিপুরা, অসম, কর্ণাটক, তামিলনাড়ু, রাজস্থান সহ ১০ রাজ্যে তল্লাশি চালাচ্ছে এনআইএ।
জানা গিয়েছে, এদিন মধ্যরাতে বারাসাতের নবপল্লীর ১১ নম্বর রেলগেট সংলগ্ন রমেশ পল্লি ছায়ানট অ্যাপার্টমেন্টের বাসিন্দা বছর পঁয়তাল্লিশের সঞ্জীব দেবের বাড়িতে চলে এনআইএ-র তল্লাশি অভিযান। সঞ্জীব দেব পর্যটন ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত। সাজানো গোছানো বিশাল বাড়িও রয়েছে তার। মঙ্গলবার মধ্যরাতে সেই বাড়ির সামনেই আসে একটি গাড়ি। সেই গাড়ি থেকে নামেন কয়েকজন আধিকারিক। তখনও পর্যন্ত স্থানীয় বাসিন্দারা কিছু বুঝে উঠতে পারেননি ঠিক কী হচ্ছে ওই ব্যবসায়ীর বাড়িতে। পরে স্থানীয়রা জানতে পারেন ওই ব্যবসায়ী নাকি মানব পাচারের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।
ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে মানব পাচারের সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগ উঠেছে ওই ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে। তবে, এনআইএ প্রতিনিধিরা তদন্তের স্বার্থে এখনও পর্যন্ত কিছু বলতে চাননি। যদিও সঞ্জীব দেবের স্ত্রী জানিয়েছেন, ‘এদিন বাড়ির বিভিন্ন জায়গা তল্লাশি চালিয়েছেন আধিকারিকরা। তাঁরা বেশ কয়েক লক্ষ টাকা উদ্ধার করেছেন বলেই জানা গিয়েছে।’
প্রসঙ্গত, ভারত–বাংলাদেশ সীমান্তে পাচার সহ নাশকতা রুখতে বিশেষ পদক্ষেপ করেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ। পাচার রুখতে কড়া পদক্ষেপ করেছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকও। এই পর্যটন ব্যবসার আড়ালে অভিযুক্ত ওই পর্যটন ব্যবসায়ী কোনও ব্যক্তিকেও বাংলাদেশে পাচার করে থাকতে পারেন বলেই মনে করা হচ্ছে।