ফের একই কায়দায় হামলার ছক কষেছে জঙ্গিরা। ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সির দপ্তরে আসা হুমকি ফোনকে ঘিরে হুলস্থুল পড়ে গিয়েছে। জুন মাসের প্রথম সপ্তাহে এনআইএ’র দিল্লির অফিসে এই ফোনটি আসে বলে সূত্রের খবর। প্রকাশ সরকার পরিচয় দিয়ে এক ব্যক্তি জানায়, আবার ২৬/১১ মতো হামলা হবে। ব্যবহার করা হবে ইম্প্রোভাইজড এক্সপ্লোসিভ ডিভাইসের মতো উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন বিস্ফোরক। ইতিমধ্যে আইইডি তৈরির উপকরণ, আগ্নেয়াস্ত্র, বুলেট চোরাপথে বাংলাদেশ এবং নেপাল থেকে ঢুকে গিয়েছে দেশে জঙ্গিগোষ্ঠীর স্লিপার সেলের হাত ধরে। জঙ্গি সংগঠন এই পরিকল্পনা করেছে বলে ইঙ্গিত দেয় সে।
আর কোনও তথ্য দেয়নি প্রকাশ। তখনই তৎপর হয়ে ওঠেন গোয়েন্দারা। যে নম্বর থেকে ফোন এসেছিল, সেটি পরীক্ষা করা হয়। দেখা যায়, নম্বরটি রানাঘাটের এক বাসিন্দার নামে নেওয়া। বিষয়টি সম্পর্কে জানানো হয় রাজ্য পুলিশকে। জানানো হয় প্রকাশের সম্পর্কে খোঁজখবর করে তার আসল পরিচয় বের করার কথা। এই তথ্য কতটা সঠিক এবং কোথা থেকে সে এই সব তথ্য পেল তা জানার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে সূত্রের খবর।
একাধিক জঙ্গি সংগঠন দেশে নাশকতা ঘটানোর বিষয়ে ইনপুট ছিল গোয়েন্দাদের কাছে। দেশের অন্য বড় শহরগুলির পাশাপাশি টার্গেট কলকাতাও। তার প্রমাণ মিলেছিল, ২০১৭ সালে আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের জঙ্গিরা ধরা পড়ার পর। কলকাতার নামী স্কুল সহ গুরুত্বপূর্ণ স্থান ছিল তাদের নিশানায়। এমনকী বসিরহাট থেকে ধৃত মহিলা লস্কর জঙ্গি তানিয়া পারভিন জেরায় জানিয়েছিল, পাকিস্তানে বসে লস্কর–ই–তৈইবার মূল চক্রীরা মুম্বই হামলার মতোই বড় নাশকতার পরিকল্পনা করছে।
উল্লেখ্য, আগে এই ধরনের হুমকি ফোন এসেছিল কলকাতার কয়েকজন নামজাদা ব্যবসায়ীর কাছেও। আসিফ রেজা টাইগার ফোর্সের প্রতিষ্ঠাতা আমির রেজা খান পাকিস্তান থেকে ফোন করে একটি পাঁচতারা হোটেলের মালিককে সরাসরি হুমকি দিয়েছিল, ২০ কোটি টাকা না দিলে অপহরণ করা হবে তাঁকে। একইসময়ে কলকাতা পুলিস আরও তিনটি হুমকি ফোন পায়। সবগুলিই এসেছিল করাচি থেকে।