দেশ ব্রেকিং নিউজ

মাসুদ আজহারের বিরুদ্ধে চার্জশিট

ভুল থেকে তারা কোনও শিক্ষা নেয় না। আসলে ঘটনাগুলি ঘটে ইচ্ছাকৃতভাবেই। আর তার পেছনে থাকে জঙ্গি সংগঠনের পূর্ব–পরিকল্পিত নীল নকশা। ২০১৯ সালে ফেব্রুয়ারি মাসে ঘটানো পুলওয়ামা কাণ্ডের দগদগে ক্ষত আজও অব্যাহত। এবার সেই পুলওয়ামা কাণ্ডের মাস্টারমাইন্ডকে খুঁজে বার করল জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা। তাই জৈশ–ই–মহম্মদ প্রধান মাসুদ আজহার ও তার ভাই রউফ আসগারের নাম মুলচক্রী হিসেবে চিহ্নিত করে আদালতে চার্জশিট জমা দিতে চলেছে এনআইএ। এই মুহূর্তে এটাই সবচেয়ে বড় খবর।
জানা গিয়েছে, এই চার্জশিটের ফলে পাকিস্তানে থাকা মাসুদ আজহারের ওপর চাপ তৈরি করা সুবিধা হবে। ৫ হাজার পাতার ওই চার্জশিটে হামলার পরিকল্পনা থেকে বাস্তবায়ন সবকিছুর তথ্য ও প্রমাণ রয়েছে। পাকিস্তান তা অস্বীকার করতে পারবে না। বরং তদন্তে নেমে পাকিস্তানের ওপর চাপ বাড়িয়ে বিদেশের মাটিতে পাকিস্তানের মুখোশ খুলে দেওয়া সহজ হবে।
এছাড়া জৈশ প্রধানের সঙ্গে সঙ্গে সেই চার্জশিটে নাম রয়েছে মোট ২০ জনের। যারা বহাল তবিয়তে পাকিস্তানে বসে পরবর্তী হামলার ছক কষে চলেছে। এই বিষয়ে এনআইএ’‌র ডেপুটি ইন্সপেক্টর জেনারেল সোনিয়া নারাং জানান, এই দীর্ঘ চার্জশিট তাঁরা আজ জম্মু কোর্টে জমা করবেন। মঙ্গলবার জমা পড়লেই বুধবার থেকে কাজ শুরু হয়ে যাবে। তখন পাকিস্তানের ওপর চাপ বাড়বে। যদি সব ঠিকঠাক এগোয় তাহলে পাকিস্তানকে মাসুদ আজহার নিয়ে কোণঠাসা অবস্থার মুখোমুখি হতে হবে।
ইতিমধ্যেই প্রমাণ হিসেবে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা কল রেকর্ডিং, হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট, বিস্ফোরকের ছবি–সহ উমর ফারুকের ফোন থেকে পাওয়া একাধিক জিনিস জোগাড় করেছে। এমনকী হামলার পর আজহারের প্রশংসাসূচক ভিডিও রয়েছে এনআইএ–এর কাছে। হামলার পরে টেলিগ্রাম গ্রুপে করা ১০০ হিন্দু সৈনিকের মৃত্যু হয়েছে—এই বার্তার প্রমাণও রয়েছে গোয়েন্দাদের হাতে। আজহার, আসগার ছাড়াও যাদের নাম চার্জশিটে রয়েছে তাদের মধ্যে কয়েকজন হলো— আদিল আহমেদ দর– পুলওয়ামায় আত্মঘাতী বোমা বিস্ফোরণ করেছিল সিআরপিএফের কনভয়ে। উমর ফারুক– হামলার অন্যতম মাথা জৈশ কমান্ডার। মার্চ মাসেই কামরানের সঙ্গে এনকাউন্টারে একে খতম করেছে সেনা। সাকির বাসির মাগ্রে– হামলার ৫০০ মিটার পর্যন্ত গাড়ি চালিয়ে নিয়ে এসেছিল সাকির। এমনকী আইডি তৈরির জন্য ব্যাটারি, অ্যামোনিয়াম পাউডার সংগ্রহ করেছিল। আর মহম্মদ ইকবাল রাদার।