রবিবারই তারা হামলা চালিয়েছিল এই দেশে প্রবেশ করার জন্য। তাতে শহিদ হতে হয়েছিল সেনাবাহিনীর এক জুনিয়র অফিসারকে। তখনই বোঝা গিয়েছিল এই হামলার পেছনে রয়েছে কোনও বড় চক্রান্ত। আর সোমবার ধরা পড়ল পাক গুপ্তচর সংস্থার এজেন্ট। আর তাতেই তোলপাড় দেশ। ভারতে পাকিস্তানের বড় নাশকতার ছক বানচাল করল জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা (এনআইএ)। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে, অভিযানে নামে গোয়েন্দা সংস্থা। আর গুজরাট থেকে এক আইএসআই এজেন্টকে গ্রেপ্তার করে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। ধৃতের নাম রাজকবি কুম্ভার। গুজরাটের কচ্ছ থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে তাকে।
এনআইএ সূত্রে খবর, গ্রেপ্তার করার পর তাকে জেরা করা হয়। সেখানেই ফাঁস হয় নাশকতার ছক। এই রাজকবি কুম্ভারের গতিবিধির উপর নজর রাখছিলেন গোয়েন্দারা। গত ২৭ আগস্ট রাজকবি কুম্ভারের বাড়িতে তল্লাশি চালানো হয়। তল্লাশিতে বেশ কিছু উস্কানিমূলক কাগজপত্র উদ্ধার হয়। সেগুলি বাজেয়াপ্ত করেন গোয়েন্দারা। এরপরই এদিন রাজকবি কুম্ভারকে গ্রেপ্তার করল এনআইএ। গুজরাটের মুন্ডরা বন্দরের সুপারভাইজার হিসেবে কাজ করছিলেন রাজকবি কুম্ভার। বন্দর এলাকা দিয়েই নাশকতার ছক কষেছিল সে।
উল্লেখ্য, এই বছরের জানুয়ারি মাসে লখনউয়ের গোমতীনগর থেকে মহম্মদ রশিদকে গ্রেপ্তার করে গুজরাট এটিএস। তার কাছ থেকেই কুম্ভারের খোঁজ পায় গোয়েন্দারা। এনআইএ তদন্তে নেমে জানতে পারে, ধৃত রশিদ ভারতে আইএসআই এজেন্ট হিসেবে কাজ করত। সে দু’বার পাকিস্তানে গিয়েছিল সে। পাকিস্তানে গিয়ে সে বেশকিছু ছবি ও নকশা পাঠায় কুম্ভারকে। তদন্তে নেমে গোয়েন্দারা আরও জানতে পারে পেটিএমের মাধ্যমে টাকার আদানপ্রদান করত এই আইএসআই এজেন্টরা। এখন ধৃত কুম্ভারকে জেরা করে বাকি মিসিং লিঙ্কদের খোঁজ পাওয়ার চেষ্টা করছে এনআইএ। এখানে আর কে কে এখনও এজেন্ট হিসাবে কাজ করছে জানতে চায় এনআইএ। তাছাড়া ঠিক কী ধরণের হামলা করতে এখানে এসেছিল সে জানতে জেরা করছে এনআইএ।
