দেশ ব্রেকিং নিউজ

জঙ্গিদের অর্থ জোগাচ্ছে কারা? তদন্তে NIA

জঙ্গি হানায় লেনদেন হতো মোটা অঙ্কের টাকার। এবার সেই সূত্র ধরেই জম্মু–কাশ্মীরের একাধিক জায়গায় রবিবার সকাল থেকেই তল্লাশি অভিযান শুরু করল জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা। সূত্র অনুযায়ী, শ্রীনগর, অনন্তনাগ, বারামুল্লা–সহ একাধিক জায়গায় চলছে তল্লাশি অভিযান। এনআইএ অভিযান চালিয়ে ইতিমধ্যে ৫ জনকে আটক করেছে বলে খবর। তাদের মধ্যে কয়েকজনের সঙ্গে আইএসআইএস–এর যোগাযোগ রয়েছে বলেও খবর। ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।

উপত্যকায় বেড়েছে জঙ্গি উপদ্রব। দুই সপ্তাহ আগে জম্মুর বিমানঘাঁটিতে হামলা হয়। চলতি সপ্তাহে টানা তিনদিন এনকাউন্টার অভিযানে প্রায় ১০ জন জঙ্গিকে নিকেশ করেছে নিরাপত্তা বাহিনী ও পুলিশ। কিন্তু এই জঙ্গিহানার জন্য টাকা আসছে কোথা থেকে?‌ তা জানতেই তদন্তে নেমেছে এআইএ। অনলাইনেই ভারতীয় যুবক-যুবতীদের মগজ ধোলাই প্রক্রিয়া চলছিল। জঙ্গিগোষ্ঠীতে সামিল করার কাজও চলছিল অনলাইনে। ১০দিন আগে এই নিয়ে অভিযোগ দায়ের হয়। তার পরই সক্রিয় হয় তদন্তকারী সংস্থা। শুরু হয় তদন্ত। সেই সূত্র ধরেই রবিবার সকাল থেকে শ্রীনগর, অন্ততনাগের বিভিন্ন এলাকায় হানা দেয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা।

সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকজন সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে আটক করেছে এনআইএ। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। শনিবারই জম্মু-কাশ্মীর প্রশাসন ১১জন সরকারি কর্মচারীকে কাজ থেকে বরখাস্ত করে দেয় জঙ্গিহানায় মদত দেওয়ার অভিযোগে। এরমধ্যে মোস্ট ওয়ান্টেড জঙ্গি সইদ সালাহুদ্দিনের দুই ছেলেও রয়েছে। মূলত উপত্যকায় হিজবুল মুজাহিদ্দিনের গতিবিধি বাড়ানের জন্যই হাওয়ালা টাকা সংগ্রহ ও লেনদেন চলত বলে জানতে পারে এনআইএ। ভূস্বর্গে সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ রুখতে মরিয়া প্রশাসন। এর মাঝেই ‘সরষের মধ্যে ভূত’-এর সন্ধান মেলে কাশ্মীরে। জঙ্গিযোগের অভিযোগে ১১ সরকারি আধিকারিককে বরখাস্ত করা হয়। এর পরেই কাশ্মীরজুড়ে শুরু হল এনআইএর অভিযান।