‘দিদিকে বলো’, ‘বাংলার গর্ব মমতা’র পর এবার ‘বাংলা নিজের মেয়েকেই চায়’। বিধানসভা নির্বাচনের কথা মাথায় রেখে নতুন স্লোগান প্রকাশ্যে আনছে তৃণমূল কংগ্রেস। শনিবার দুপুরে তৃণমূল ভবনে এই নতুন স্লোগানের উদ্বোধন করেন দলের শীর্ষ নেতৃত্ব। ‘বাংলা নিজের মেয়েকেই চায়’ এই নয়া স্লোগানেই ফের পোস্টার তৈরি হয়েছে। তৃণমূল কংগ্রেসের নির্বাচনী স্লোগানগুলির মধ্যে এটি একটি।
বাংলার নির্বাচনের আগে স্পষ্টতই বাঙালি আবেগকে হাতিয়ার করতে চাইছে তৃণমূল কংগ্রেস। তাঁদের প্রচারের একটা বড় অংশ জুড়ে রয়েছে বাংলা বনাম বহিরাগতর তত্ত্ব। বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতাদের ‘বহিরাগত’ বলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ‘ঘরের মেয়ে’ হিসেবে তুলে ধরার চেষ্টা করছে রাজ্যের শাসকদল। তাই ‘বাংলার গর্ব মমতা’ নামের প্রচারাভিযান ইতিমধ্যেই শুরু করেছে শাসকদল। এবার রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর ‘ঘরের মেয়ে’ ভাবমূর্তিকে কাজে লাগাতে চাইছে শাসকদল।
আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে কখনও বাংলার সংস্কৃতি, কখনও স্বামী বিবেকানন্দ, কখনও নেতাজি, কখনও রবীন্দ্রনাথ। ভোট বাক্সে জয় পেতে প্রতিটি দলই জোর দিয়েছে বাংলা ও বাঙালির আবেগে। এক্ষেত্রেও বাংলা ও বাঙালির আবেগকে গুরুত্ব দিয়ে স্লোগান তৈরি করেছে তৃণমূল। শনিবার এই ধরনের বিভিন্ন স্লোগানের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয় দলের তরফে। সূত্রের খবর, তৃণমূলের এই নতুন স্লোগানের পেছনেও রয়েছে ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোরের মস্তিস্ক। ইতিমধ্যেই ‘বাংলা নিজের মেয়েকেই চায়’ শীর্ষক বেশ কিছু ব্যানার পড়েছে শহর কলকাতায়। সোশ্যাল মিডিয়াতেও প্রশান্ত কিশোরের সংস্থা আই–প্যাক এই স্লোগানকে সামনে রেখে প্রচার শুরু করেছে।
এরপর কে হবেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী? এখন এই প্রশ্নই ঘুরছে সর্বত্র। বিজেপি জানিয়েছে, আসন্ন নির্বাচনে জিতলে বাংলার ভূমিপুত্রই বাংলার ভূমিপুত্র হবেন। পালটা চ্যালেঞ্জ দিয়ে তৃণমূলের স্লোগান, বাংলা নিজের মেয়েকেই চায়। পোস্টার নিয়ে আপাতত তৈরি তৃণমূল। মুখ্যমন্ত্রী নিজেও গত সপ্তাহে রায়গঞ্জের সভা থেকে ঘোষণা করেছেন, এই ভোটটা আমার। তাই প্রার্থী যেই হোক, আমাকে চাইলে তৃণমূলকে ভোট দেবেন।