দিল্লি–সহ দেশের একাধিক শহরে সর্বকালের সব রেকর্ড ভেঙে ফেলল পেট্রোল–ডিজেলের দাম। গত বছরের শেষের দিকে কয়েক সপ্তাহ জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধিটা নিয়ম হয়ে দাঁড়িয়েছিল। মাঝখানে প্রায় মাসখানেক নতুন করে পেট্রোল–ডিজেলের দাম তেমন না বাড়লেও আগের মূল্যবৃদ্ধির ধাক্কাই এতদিন সামলাতে হচ্ছিল আম জনতাকে। ২০২১ সাল পড়তে না পড়তেই ফের নিয়মিত জ্বালানির দাম বাড়তে শুরু করেছে। যার জেরে সাধারণতন্ত্র দিবসেই সর্বকালের সব রেকর্ড ভেঙে ফেলল পেট্রোল–ডিজেল।
দেশজুড়ে পালিত হচ্ছে ৭২তম সাধারণতন্ত্র দিবস। সেজে উঠেছে দেশের সকল প্রান্ত। আর প্রজাতন্ত্র দিবসের ভোরে দেশবাসীকে পেট্রোল ও ডিজেলের মূল্যবৃদ্ধি উপহার দিল রাষ্ট্রায়ত্ত তেল কোম্পানিগুলি। ফলশ্রুতিতে নয়া উচ্চতা স্পর্শ করল দাম। রাজধানী দিল্লিতে এদিন পেট্রোলের দাম লিটারপ্রতি ৩৫ পয়সা বেড়ে হয়েছে ৮৬ টাকা ৫ পয়সা। একইভাবে ডিজেলের দাম ৭৫ টাকা ৮৮ পয়সা থেকে বেড়ে হয়েছে ৭৬ টাকা ২৩ পয়সা। মুম্বইয়ে পেট্রোলের দাম ৩৪ পয়সা বেড়ে হয়েছে ৯২ টাকা ৬২ পয়সা। একইভাবে ডিজেলের দাম বেড়ে হয়েছে লিটারপ্রতি ৮৩টাকা ৩ পয়সা। শহর কলকাতায় আজ রেকর্ড গড়ে ডিজেলের দাম হয়েছে ৭৯ টাকা ৮৩ পয়সা। পেট্রোলের দাম হয়েছে ৮৭টাকা ৪৫ পয়সা। চেন্নাইয়ে আজ লিটারপ্রতি পেট্রোলের দাম ৩১ পয়সা থেকে বেড়ে হয়েছে ৮৮ টাকা ৬০ পয়সা। একইভাবে ডিজেলের দাম হয়েছে ৮১ টাকা ৪৭ পয়সা। প্রায় একমাস অপরিবর্তিত রাখার পরে গত ৬ জানুয়ারি থেকে জ্বালানি তেলের দাম ক্রমশ বাড়ছে।
এদিন প্রতি লিটার পেট্রল ও ডিজেলের দাম বেড়েছে ৩৫ পয়সা করে। কলকাতা-সহ দেশের প্রধান ৪ মেট্রো শহরেই দাম বেড়েছে। সৌদি আরবের মতো তেল উৎপাদক দেশগুলি উৎপাদনে রাশ টানায় এমন পরিস্থিতি হচ্ছে বলে এর আগে সাফাই শোনা গিয়েছে পেট্রোলিয়াম মন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধানের গলায়। কিন্তু তাতে যে চিঁড়ে ভিজবে না তা টের পেতে শুরু করে দিয়েছেন মোদী সরকারের ম্যানেজাররা। তাই আর গড়িমসি না করে পেট্রল ও ডিজেলে শুল্ক কমানোর তোড়জোড় শুরু হয়ে গিয়েছে বলে সূত্রের খবর।
নতুন করে জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধির পরই সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রতিবাদে সরব হয়েছে দেশের বৃহত্তম বিরোধী দল কংগ্রেস। খোদ কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী পেট্রোলের দাম নিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় সরকারকে অভিনব কটাক্ষে বিঁধেছেন রাহুল গান্ধীও। কিন্তু কাজের কাজ হয়নি।