আইপিএসদের বদলির ইস্যুতে আরও সংঘাতে গেল কেন্দ্র–রাজ্য। তিন আইপিএসকে ছাড়ার জন্য ফের রাজ্যকে চিঠি পাঠাল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। সূত্রের খবর, চিঠিতে বলা হয়েছে এভাবে আইপিএসদের আটকে রাখা যাবে না। তাঁদের দ্রুতই দিল্লিতে গিয়ে হাজিরা দিতে হবে। কারণ ওই তিন আইপিএস–কে নতুন পোস্টিং ও দিল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক।
জানা গিয়েছে, রাজীব মিশ্রকে আইটিবিপি–তে পাঠানো হল। প্রবীণ ত্রিপাঠীকে জন্য এসএসবি এবং ভোলানাথ পাণ্ডে–কে কেবিপিআরডি–তে পাঠানো হল। তিন অফিসারকেই ৫ বছরের জন্য নতুন পোস্টিং দেওয়া হল। কয়েকদিন আগে ডিআইজি (প্রেসিডেন্সি রেঞ্জ) প্রবীণ ত্রিপাঠি, দক্ষিণবঙ্গের এডিজি (দক্ষিণবঙ্গ) রাজীব মিশ্র এবং ডায়মন্ডহারবারের পুলিশ সুপার ভোলানাথ পাণ্ডেকে কেন্দ্র অন্য বিভাগে স্থানান্তরিত করার জন্য চিঠি পাঠিয়েছিল রাজ্য সরকারের কাছে। রাজ্যে তাঁরা যে পদে রয়েছেন, তা থেকে অব্যহতি নিয়ে দিল্লিতে ডেকে পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু কেন্দ্রের এই চিঠির জবাবে রাজ্য সরকার স্পষ্ট জানিয়ে দেয় যে তিন আইপিএসকে ছাড়া যাবে না।
উল্লেখ্য, গত ১২ ডিসেম্বর বিজেপি’র সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার কর্মসূচির দায়িত্বে থাকা তিন আইপিএস অফিসারকে কেন্দ্রের ডেপুটেশনের ডেকে পাঠায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। এই নিয়ে ফের কেন্দ্র–রাজ্য সংঘাতের সম্ভাবনা তৈরি হয়। ওই তিন অফিসারকে ছাড়তে রাজি ছিল না রাজ্য। এবার জানানো হয়েছে, অবিলম্বে তিন আইপিএস অফিসারকে ছাড়তে হবে। তাঁরা যেন দ্রুত দিল্লিতে গিয়ে হাজিরা দেন। এই তিনজনের নতুন পোস্টিংয়ের কথাও জানানো হয়েছে সেই চিঠিতে।
কেন্দ্রের এই চিঠির প্রাপ্তি স্বীকার করেছে নবান্ন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তীব্র প্রতিক্রিয়া, ‘এভাবে পশ্চিমবঙ্গের দায়িত্ব সামলানোর মাঝেই তিন আইপিএসকে কেন্দ্রের ডেপুটেশন চাওয়া বেআইনি, আইপিএস ক্যাডার রুল ১৯৫৪ সালের পরিপন্থী। কেন্দ্রীয় সরকার নিজের ক্ষমতার অপব্যবহার করছে। রাজ্যের ক্ষমতা সরাসরি হস্তক্ষেপ করতে এবং পশ্চিমবঙ্গে কর্মরত আধিকারিকদের মনোবল ভাঙার জন্যই এই উদ্যোগ। এই পদক্ষেপ বিশেষ করে নির্বাচনের আগে প্রজাতান্ত্রিক নীতির বিরুদ্ধে সরাসরি আঘাত। এই পদক্ষেপ অসাংবিধানিক এবং সম্পূর্ণভাবে অগ্রহণযোগ্য।’
