বাংলাদেশের সীমান্তরেখা লাগোয়া ভারতের সোনামুড়া স্থলবন্দর। এটির অবস্থান ত্রিপুরার পূর্ব–পশ্চিম প্রান্তে। দু’দেশের স্থলবন্দরের পাশেই ত্রিপুরা থেকে নেমে আসা গোমতী নদী। বাংলাদেশ যেদিন বলল ভারতের সঙ্গে তাদের সম্পর্ক রক্ত ঋণের তারপরই বাংলাদেশ–ভারত আন্তর্জাতিক নৌরুট হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে সোনামুড়া। বাংলাদেশের ল্যান্ডিং পোর্ট থেকে গোমতীর বুক চিরে পণ্য পরিবাহিত হবে সোনামুড়া নৌবন্দরে।
এদিন নৌপথটি পরিদর্শনে আসেন বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ–পরিবহণ সংস্থার (বিআইডব্লিউটিএ) চেয়ারম্যান কমোডর গোলাম সাদেকের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল। সি–বোটে চেপে ৯১ কিলোমিটার নৌপথ পরিদর্শন করে তাঁরা। জলপথ পরিদর্শনে করে বিআইডব্লিউটিএ’র চেয়ারম্যান কমোডর গোলাম সাদেক জানান, সোনামুড়া ল্যান্ডিং স্টেশনের বাংলাদেশ প্রান্ত থেকে স্পিডবোটে চেপে দাউদকান্দি পর্যন্ত ৯১ কিলোমিটার নৌপথটি চালু করার ব্যাপারে কী করণীয় তা বুঝতেই তাঁরা এই জলপথ পরিদর্শনে এসেছেন। এটি খনন করতে একটা প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে।
গোমতীর বুক চিরে যতই ভাটির দিকে এগোনো যায় নদী যেন নিজেকে মেলে ধরে। বাংলাদেশ–ভারতের মধ্যে যে আন্তর্জাতিক নৌ–প্রোটোকল রয়েছে তার আওতায় দাউদকান্দি–সোনামুড়া নৌরুটটি আসার পর এটি দ্রুত চালু করতে চায় বাংলাদেশ। তাই ছুটির দিন হওয়া সত্ত্বেও নৌরুটটি সরেজমিন পরিদর্শন করতে এসেছে প্রতিনিধিদল। তবে বাংলাদেশের চট্টগ্রাম ও মোংলা পোর্ট হয়ে ত্রিপুরা ও ভারতের উত্তর–পূর্বাঞ্চলের অন্যান্য রাজ্যে পণ্য পৌঁছে দেওয়ার জন্য বিবির বাজার স্থলবন্দর ব্যবহার করা হবে।
ভারত থেকে চট্টগ্রাম বন্দরে আসা পণ্য বিবিরবাজার স্থলবন্দর ব্যবহার করে ভারতের উত্তর–পূর্বাঞ্চলের রাজ্যে প্রবেশ করবে। এতে চট্টগ্রাম থেকে আগরতলায় পণ্যপরিবহনে ১৫০ কিলোমিটার পথ কমবে। চট্টগ্রাম বন্দর থেকে বিবির বাজার স্থলবন্দর হয়ে ত্রিপুরার সোনামুড়া স্থলবন্দরে পণ্য পরিবাহিত হলে অন্তত ১৫০ কিলোমিটার পথ কমে যাবে। স্থলবন্দরের খুব কাছেই গোমতী নদীর তীরে সোনামুড়া ল্যান্ডিং স্টেশন, যা ত্রিপুরার অহংকার হিসেবে বিবেচিত হতে পারে।