আন্তর্জাতিক

বিশ্বের তৈরি তালিকায় আমফানের পর কী?‌

৬৪টা নামের যে তালিকা ২০০৪ সালে তৈরি হয়েছিল, আমফানের মধ্যে দিয়েই তা শেষ হচ্ছে। এর পর নতুন ঘূর্ণিঝড় তৈরি হলে নতুন তালিকাটি থেকে তার নামকরণ শুরু হবে। এপ্রিল মাসের শেষ দিকেই সেই তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। ‘আমফান’ শব্দের মানে হল আকাশ। কিন্তু বর্তমানে এটি ত্রাশের আর এক নাম হয়ে উঠেছে। বছর খানেক আগে তৈরি হওয়া ঝড়ের তালিকার এটাই শেষ ঝড়। আমফানের আগে যে ঘূর্ণিঝড়টির সম্মুখীন হয়েছি আমরা, সেটির নাম ‘ফণী’। এই ঝড়ের নাম দিয়েছিল বাংলাদেশ, যার অর্থ হল সাপ। কীভাবে নামকরণ করা হয় এই ঘূর্ণিঝড়গুলির? আমফানের পরবর্তী ঝড়গুলির নাম কী?
নতুন নামের তালিকা তৈরি করতে উত্তর ভারত মহাসাগর অঞ্চলের দেশগুলি একজোট হয়। কিন্তু মজার ব্যাপার হল—২০০৪ সালে তৈরি হওয়া প্রথম তালিকায় ঘূর্ণিঝড়ের নাম দিয়েছিল আটটি দেশ–ভারত, বাংলাদেশ, পাকিস্তান, মায়ানমার, শ্রীলঙ্কা, তাইল্যান্ড, ওমান এবং মলদ্বীপ। এবার এদের সঙ্গে আরও পাঁচটা দেশ যোগ হয়েছে —ইরান, কাতার, সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরশাহি এবং ইয়েমেন। এই ১৩টা দেশ ১৩টা করে নাম দিয়েছে। অর্থাৎ নতুন তালিকাটি তৈরি হয়েছে ১৬৯টি নাম নিয়ে।
বিশ্বজুড়ে প্রতিটি সমুদ্র অববাহিকায় যে ঘূর্ণিঝড়গুলি তৈরি হয়, আঞ্চলিকভাবে আবহাওয়া কেন্দ্র এবং ক্রান্তীয় ঘূর্ণিঝড়ের সতর্কতা কেন্দ্রগুলির দ্বারা সেগুলির নামকরণ করা হয়। ওয়ার্ল্ড মেটিরিওলজিকাল অর্গানাইজেশন, ইউনাইটেড নেশন্স ইকোনমিক অ্যান্ড সোশ্যাল কমিশন ফর এশিয়া এবং প্রশান্ত মহাসাগর বা ডব্লিউএমও ইস্কাপের তালিকাভুক্ত দেশগুলি বিভিন্ন ঝড়ের নাম প্রস্তাব করে। এই তালিকা অনুযায়ী আমফানের পরের ঝড়টি হবে ‘নিসর্গ’। নামটি বাংলাদেশের দেওয়া। তার পরের ঝড়টির নাম হবে ‘গতি’। নামটি ভারতের দেওয়া। এই তালিকায় নিসর্গ ছাড়া বাংলাদেশ যে আরও ১২টি নাম দিয়েছে সেগুলি হল— বিপর্যয়, অর্ণব, উপকূল, বর্ষণ, রজনী, নিশীথ, ঊর্মি, মেঘলা, সমীরণ, প্রতিকূল, সরোবর এবং মহানিশা।
ভারত যে আরও ১২টি নাম দিয়েছে সেগুলি হল, তেজ, মোরাসু, আগ, ব্যোম, ঝড়, প্রবাহ, নীর, প্রভজন, ঘূর্ণি, অম্বুদ, জলধি, বেগ। প্রেস ইনফরমেশন ব্যুরোর প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী আমফানের পরবর্তী ঘূর্ণিঝড়গুলির নাম হল, নিসর্গ (বাংলাদেশের প্রস্তাবিত), গতি (ভারতের প্রস্তাবিত), নিভার (ইরানের প্রস্তাবিত), বুরেভি (মালদ্বীপ প্রস্তাবিত), তৌকতাই (মায়ানমারের প্রস্তাবিত নাম) এবং ইয়াস (ওমান প্রস্তাবিত)।