কেন্দ্রের নয়া তথ্যপ্রযুক্তি আইনে আংশিকভাবে সম্মতি জানাল ৭টি সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম। গুগল, ফেসবুক, হোয়াটস্অ্যাপের পাশাপাশি নির্দেশিকা মেনে নিল লিঙ্কড্ইন, টেলিগ্রাম, শেয়ারচ্যাট ও কু অ্যাপ। ইতিমধ্যেই নির্দেশ মেনে এই ৭টি প্ল্যাটফর্ম একজন করে চিফ কমপ্লেনস অফিসার, নোডাল অফিসার এবং গ্রিভানস অফিসার নিয়োগ করেছে। সেই তালিকা কেন্দ্রের কাছেও পাঠানো হয়েছে। গোটা বিষয়টির মূল ভার অবশ্য তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রকের হাতেই থাকছে।
একমাত্র টুইটারের তরফেই কোনও জবাব মেলেনি বলে সরকারি সূত্রের দাবি। বুধবার থেকে নতুন নিয়ম কার্যকর হওয়ার পরই কেন্দ্রের বিরোধিতা করে আদালতের দারস্থ হয় ফেসবুকের মালিকানাধীন হোয়াটসঅ্যাপ। তাদের অভিযোগ, কেন্দ্রের এই নিয়ম সংবিধান বিরোধী এবং ব্যবহারকারীদের গোপনীয়তার রক্ষার নিয়মের সম্পূর্ণ বিরুদ্ধে। টুইটারের তরফেও পরদিনই জানানো হয়, ভারতে টুইটার ব্যবহারকারীদের মতপ্রকাশের স্বাধীনতা নিয়ে তারা উদ্বিগ্ন। এরপরই কেন্দ্রের কড়া জবাবে বলা হয়, আড়াল থেকে কথা না বলে দেশের আইন মেনে চলুন।
এরপরই রাতারাতি কেন্দ্রকে সেই টুইটার জানাল তাঁরাও এবার নোডাল কন্টাক্ট অফিসার, ও গ্রিভ্যান্স অফিসার মনোনীত করছেন। বিশদ রিপোর্ট তাঁরা পরে কেন্দ্রকে পাঠাবে। নয়া আইন অনুযায়ী নিয়োজিত অফিসারদের ভারতীয় নাগরিক ও সেই কোম্পানির কর্মচারী হতে হবে। উল্লেখ্য, শুক্রবার সকালেই নতুন তথ্যপ্রযুক্তি আইন না লাগু করায় টুইটার–কেন্দ্র সংঘাত চরমে উঠেছিল।