বাংলাদেশে পদ্মা সেতু চালু হওয়ায় সুফল মিলবে গোটা দেশে; বৈদেশিক বানিজ্যে খুলে যেতে পারে নতুন দিগন্ত। ওয়াকিবহাল মহলের ধারণা, সেই প্রত্যাশাই যেন ক্রমে সত্যি হতে চলেছে।
পদ্মা সেতুকে কেন্দ্র করে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে গড়ে উঠেছে বহুমাত্রিক অর্থনীতি। কাজে এসেছে নতুন গতি৷ বৃহস্পতিবার, ২৭ টি গার্মেন্টস ফ্যাক্টরির বাচ্চাদের পোশাক, জার্সি, কার্ডিগান, টি-শার্ট, ট্রাউজারসহ বিভিন্ন পণ্য বোঝাই করে ১৭টি কনটেইনার পদ্মা সেতু হয়ে মোংলা বন্দর জেটিতে পৌঁছায়। এদিন, সকাল সাড়ে ১১টায় বিদেশি জাহাজ মার্কস নেসনা মোংলা বন্দর ত্যাগ করে পোল্যান্ডের উদ্দেশ্যে যাত্রা করে। মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ সূত্রের খবর, পদ্মা সেতু চালু হওয়ার পর এই প্রথম পোল্যান্ডে যাচ্ছে এত বড় চালান।
মূলত পদ্মায় ফেরি জটিলতার কারণে ঢাকার এসব গার্মেন্টস পণ্যের বেশিরভাগই চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে বিদেশে রফতানি হতো। সেতু চালু হওয়ার পর ঢাকা থেকে মোংলা বন্দরের দূরত্ব এখন ১৭০, যা আগের তুলনায় অনেক কমেছে। মোংলা বন্দরে জাহাজ হ্যান্ডলিং দ্রুত ও নিরাপদ হওয়ায় এবং ঢাকার সঙ্গে দূরত্ব কমে যাওয়ায় সময় ও অর্থ সাশ্রয়ে এ বন্দর দিয়ে আমদানি-রফতানিতে আগ্রহী হয়েছেন বহু গার্মেন্টস ব্যবসায়ীরা।ইতিমধ্যে অনেক ব্যবসায়ী মোংলা থেকে শুরু করে মাওয়া পর্যন্ত জমি কিনেছেন।
মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল মোহাম্মদ মুসা বলেন, মোংলা বন্দরের জন্য আজকে একটি স্মরনীয় দিন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কর্তৃক পদ্মা সেতু উদ্বোধনের পর এক মাসের মধ্যে পদ্মা সেতু হয়ে মোংলা বন্দর এর মাধ্যমে গার্মেন্টস পন্য রপ্তানির নবযাত্রা শুরু হলো। ভবিষ্যতে আমদানি-রপ্তানি এ ধারা আরও বৃদ্ধি পাবে বলেও জানান বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান।