করোনা আবহের মধ্যেই আন্তর্জাতিক উড়ানে সামগ্রিকভাবে নিষেধাজ্ঞা চললেও বিশ্বের কয়েকটি শহরের সঙ্গে ভারতের আন্তর্জাতিক উড়ান পরিষেবা শুরু হয়েছে। সেখানে বেশ কয়েকটি কারণ রয়েছে। আটকে পড়া মানুষকে তাঁর নিজের দেশে ফেরত পাঠানো, নিজের দেশের নাগরিককে অন্যের দেশ থেকে ফিরিয়ে আনা–সহ নানা কারণে তা চালু রয়েছে।
তবে এবার সেই সব উড়ানে ভারতে যাঁরা আসবেন, তাঁদের জন্য নতুন করে নির্দেশিকা প্রকাশ করল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। ৮ আগস্ট থেকে নতুন গাইডলাইন কার্যকর হচ্ছে। গাইডলাইনে বলা হয়েছে, প্রত্যেক যাত্রীকে উড়ানের অন্তত ৭২ ঘণ্টা আগে newdelhiairport.in ওয়েবসাইটে নিজের স্বাস্থ্যসংক্রান্ত তথ্য দিতে হবে। তাহলে আগাম সেই সংক্রান্ত ব্যবস্থা নেওয়া যাবে।
এছাড়া যাত্রীরা ভারতে পৌঁছে ১৪ দিনের কোয়ারেন্টাইনে থাকবেন, যাত্রার আগে এটা লিখিত দিতে হবে। তার মধ্যে প্রথম সাত দিন নিজের টাকায় সরকারি কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে। পরের সাতদিন হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে। তাহলে বিশেষ পরিস্থিতি তৈরি হলে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা যাবে। করোনা কোন পর্যায়ে রয়েছে তাও জানতে পারা যাবে।
আর সরকারি কোয়ারেন্টাইনে থাকতে না চাইলে ভারতে আসার পরই করোনা পরীক্ষার নেগেটিভ রিপোর্ট জমা দিতে হবে। তবে কিছু ক্ষেত্রে ছাড়ও রয়েছে। গুরুতর অসুস্থ, পরিবারে কারও মৃত্যু হলে, গর্ভবতী মহিলা বা ১০ বছরের কম বয়সি শিশুদের ক্ষেত্রে সেই ছাড় প্রযোজ্য। বাকিদের ক্ষেত্রে সেই ছাড় দেওয়া হবে না। এমনকী কোনও অনুরোধকে এখানে গুরুত্ব দেওয়া হবে না।
এই নির্দেশিকা বা গাইডলাইনে আরও বলা হয়েছে, প্রত্যেক যাত্রীর মোবাইলে আরোগ্য সেতু অ্যাপ থাকা বাধ্যতামূলক। বিমানে ওঠার আগে থার্মাল স্ক্রিনিংয়ে যদি কারও শরীরে জ্বর ধরা পড়ে, তাহলে তাঁকে বিমানে উঠতে দেওয়া হবে না। বিমানে শারীরিক দূরত্ববিধি মানতে হবে আর হাতে স্যানিটাইজার দিতে হবে। মাস্কও পরতে হবে। এমনকী কোনও যাত্রীর করোনার উপসর্গ দেখা দিলে তাঁকে সঙ্গে সঙ্গে আইসোলেট করা হবে এবং চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যাওয়া হবে। এখানে বিদেশ থেকে পণ্য পরিবহণের জন্য আসা বিমানগুলির ক্ষেত্রে এই নির্দেশিকা প্রযোজ্য হবে না।