নেপালের বাড়বাড়ন্ত কিছুতেই থামছে না। এবার নেপাল পুলিশের অতি সক্রিয়তায় ফের উত্তেজনা তৈরি হল বিহার সীমান্তে। তারা সন্তান–সহ এক ভারতীয় যুবতীকে অপহরণ করেছে বলে অভিযোগ। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে শুরু হয়েছে উত্তেজনার সূত্রপাত। সেই উত্তেজনার মধ্যেই নেপাল পুলিশের বিরুদ্ধে ফের গুলি চালানোর অভিযোগ উঠল। পরে বিহার পুলিশের হস্তক্ষেপে পূর্ব চম্পারণ থেকে তুলে নিয়ে যাওয়া ওই যুবতী ও তাঁর সন্তানকে ছেড়ে দিতে বাধ্য হয় নেপাল পুলিশ। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে বিহারের পূর্ব চম্পারণ জেলার গোধাশান থানার অন্তর্গত খারসালওয়া এলাকায়।
স্থানীয় সূত্রে খবর, খারসালওয়া এলাকার বাসিন্দা ওই যুবতী সন্তানকে নিয়ে ভারত–নেপাল সীমান্ত সংলগ্ন এলাকায় ঘাস কাটছিলেন। সেখানে হঠাৎ হাজির হয় নেপাল পুলিশ। আর ঘাস কাটতে নিষেধ করে। যুবতী প্রতিবাদ করে জানান, তিনি ভারতীয় ভূখণ্ডের মধ্যে রয়েছেন। কেন ঘাস কাটতে পারবেন না? এই কাটাকাটির মধ্যেই নেপাল পুলিশ ওই মহিলার গায়ে হাত তোলে বলে অভিযোগ। এমনকী তাঁকে বেধড়ক মারধর করে, সন্তান–সহ নেপাল সীমান্তের মধ্যে থাকা পুলিশ পোস্টে তুলে নিয়ে যায়।
এই খবর দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে চারপাশে। যুবতীর বাড়ি বিহারের সেই খারসালওয়া এলাকার মানুষ সীমান্তের কাছে জড়ো হয়ে প্রতিবাদ জানাতে থাকে। যুবতীকে অবিলম্বে ছেড়ে দিতে হবে বলে নেপাল পুলিশের কাছে দাবি জানায়। গ্রামবাসীদের সঙ্গে তুমুল গন্ডগোল বেধে যায়। সীমান্তে জড়ো হওয়া লোকজনকে ছত্রভঙ্গ করতে গুলি চালায় নেপাল পুলিশ। ততক্ষণে পূর্ব চম্পারণের পুলিশের কাছে খবর পৌঁছলে, ফোর্স চলে আসে। নেপাল পুলিশের সঙ্গে কথা বলে সন্তান–সহ ওই যুবতীকে উদ্ধার করা হয়।
উল্লেখ্য, ভারতীয় ভূখণ্ডের তিনটি অঞ্চল নেপাল তাদের মানচিত্রে অন্তর্ভুক্ত করার পর থেকেই দু’দেশের সম্পর্কের অবনতি হয়। তার উপর এই অপহরণ ঘটনার আগেও নেপাল পুলিশের বিরুদ্ধে একাধিকবার গুলি চালানোর অভিযোগ উঠেছে। আগেও বিহার লাগোয়া সীমান্তে ভারতীয়দের বেধড়ক মারধর করে নেপালের সশস্ত্র বাহিনী। ঘটনায় আহত হন এক ভারতীয় দম্পতি। ভারতীয়রা সীমান্তে জড়ো হলে ছত্রভঙ্গ করতে গুলি চালানোরও অভিযোগ ওঠে নেপাল পুলিশের বিরুদ্ধে।
