লিড নিউজ

কট্টরপন্থীদের হাতে নিগৃহীত নেপালের বাসিন্দা

নেপালের প্রতি রাগ এবার আছড়ে পড়ল এক নেপালের বাসিন্দার ওপর। যার জেরে দেশের নাম পুড়ল। কারণ তিনি এই দেশে রয়েছেন। তবে ভারতবর্ষ এমন কাজকে সমর্থন করে না। যেখানে সবাই মিলে ধরে–বেঁধে তাঁর চুলে কেটে ফেলল। তার পর কালি দিয়ে মাথায় লিখে দেওয়া হল— জয় শ্রীরাম। আবার তাঁকে জয় শ্রীরাম ধ্বনি দিতে চাপ দেওয়া হল। এতজন কট্টরপন্থীর মাঝে সেই নিরুপায় নেপালি ভদ্রলোক বাধ্য হয়েই সব দাবি মেনে নিলেন। কিন্তু তাতেও ক্ষান্ত হল না কট্টরপন্থীরা।
আরও কী করল তারা?‌ জানা গিয়েছে, ওই নেপালি ব্যক্তিকে নেপালের প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলির বিরুদ্ধে স্লোগান দিতেও বাধ্য করা হল। আর এই সব কিছুই হল প্রকাশ্য দিবালোকে। এমনকী পুরো ঘটনার ভিডিও ছড়িয়ে পড়ল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। লোকজন ছি ছি করলেন। নিন্দার ঝড় উঠল সোশ্যাল মিডিয়ায়। কেউ কেউ লিখলেন, ওরা অধম হলে আমরা উত্তম হবো না কেন?‌ তবে তাতে কট্টরপন্থীদের বিন্দুমাত্র অনুশোচনা হল না!‌
এই ঘটনাটি অবশ্য যোগী রাজ্যের বারানসীর ঘটনা। ঠিক কী ঘটেছিল?‌ স্থানীয় সূত্রে খবর, একজন নেপালি ব্যক্তির সঙ্গে অভব্য আচরণ করলেন একটি কট্টরপন্থী সংগঠনের কয়েকজন সদস্য। উত্তরপ্রদেশ পুলিশ সূত্রে খবর, দোষীদের মধ্যে একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্যজনের খোঁজ শুরু হয়েছে। অরুণ পাঠক নামে যে ব্যক্তি এমন ঘৃন্য ঘটনার ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় চাউর করেছিলেন তাঁকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ভারতে নেপালের দূত নীলাম্বর আচার্য এই ঘটনার পর উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের সঙ্গে কথা বলেছেন। যোগী দোষীদের কড়া শাস্তির প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
উল্লেখ্য, এখন ভারত–নেপালের সম্পর্কে টানাপোড়েন চলছে। একে তো লিপুলেখের ভূখণ্ড নিয়ে দুই দেশের মধ্যে বিবাদ চলছিল। তার উপর নেপালের প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলি রামচন্দ্র ও অযোধ্যা নিয়ে নতুন দাবি করেছেন। তাঁর দাবি, অযোধ্যা আসলে নেপালের বীরগঞ্জের একটি ছোট্ট গ্রাম। অযোধ্যা ভারতে অবস্থিত নয়। তাঁর এমন মন্তব্যের পর ভারতের সাধু, মহন্তরা ওলিকে বিঁধতে শুরু করেছেন।