নিম পাতা উপকারি। এই পর্যন্ত সকলেরই জানা। এমনকী বেশিরভাগ বাড়িতে নিম গাছ রক্ষণাবেক্ষণের চল আছে। কিন্তু নিম গাছ সারা বছর কত উপকারে লাগতে পারে তা কী জানা আছে? না, অনেকেরই তা অজানা। এই নিম পাতা অব্যর্থ কাজ করে চর্মরোগ ঠেকাতে। আয়ুর্বেদের একেবারে গোড়ার দিক থেকেই নিম পাতার জলে স্নান করার রীতি রয়েছে। ঋতু পরিবর্তনের সময় নিম পাতার জলে স্নান করলে তা শরীরে একটি ঢাল তৈরি করে। যা আমাদের সর্দি–কাশি কিংবা ঠান্ডা লাগা থেকে রক্ষা করে। দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতেও অবদান আছে নিম পাতার। এখন করোনার সময়েও অত্যন্ত জরুরী এই নিম পাতা।
নিম পাতার উপকারিতা কী কী?
চিকিৎসকরা জানান, নিম পাতার জলে স্নান করলে ব্রণ, দাগ এবং ব্ল্যাকহেডের সমস্যা থেকে রেহাই পাওয়া যায়। আয়ুর্বেদিক ওষুধ তৈরি করতে এই পাতা একাই একশো। তাছাড়া শীতকালে উলের টুপি বা স্কার্ফ ব্যবহারের ফলে চুলের সমস্যাতেও কার্যকরী ভূমিকা নেয় নিম পাতার জল। খুসকির সমস্যার সমাধানও এই পাতা কাজে লাগে। আর চোখের অ্যালার্জি প্রতিরোধ করতে পারে নিম পাতা। নিম ফল থেকেও চোখের ওষুধ তৈরি হয়। সেই সঙ্গে নিম পাতা হালকা করে ভেজে খাওয়া যায়, যা কৃমি নাশক তো বটেই ডায়াবেটিসেরও অব্যর্থ ওষুধ। ফলে শীত–গ্রীষ্ম–বর্ষাতে নিম পাতা ব্যবহার করা যেতে পারে। তাতে শরীর সুস্থ ও সতেজ থাকে।
নিম পাতা ব্যবহারের নিয়ম কী?
প্রথমে বালতিতে দুটি নিম পাতা রাখুন। তারপর তাতে গরম জল ঢেলে নিন। তারপর জল ঠান্ডা হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। জল ঠান্ডা হয়ে গেলে নিম পাতা সরিয়ে দিন। তারপর ব্যবহার করুন। মাথা থেকে সেই জল ঢেলে দিন সারা শরীরে। তারপর গা–হাত–পা মুছে নিয়ে দেখুন সতেজ লাগবে। ক্লান্তিহীন লাগবে। কোনও জীবাণু স্পর্শ পর্যন্ত করবে না।