বিহারে আবার এনডিএ–কেই নির্বাচিত করবে মানুষ। চতুর্থ দিন বিহারে নির্বাচনী প্রচারে গিয়ে এই দাবি করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বিহারে আজ দ্বিতীয় দফার ভোটগ্রহণ চলছে। সেখানে এই মন্তব্য বেশ চমকপ্রদ বলে মনে করা হচ্ছে। কারণ ফলাফল প্রকাশের আগেই ফলাফল জানিয়ে দিলেন তিনি। পাশাপাশি উত্তরপ্রদেশ থেকে রাজ্যসভায় নির্বাচিত হয়েছেন বিজেপি’র ৮ সাংসদ। উত্তরাখণ্ড থেকে জিতেছেন আরও ১ জন। সবমিলিয়ে রাজ্যসভায় বিজেপির সাংসদ সংখ্যা হল ৯৪।
মঙ্গলবার ফোর্বসগঞ্জের সভায় প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বিহার থেকে যে তথ্য আমরা পেয়েছি, তাতে এটা স্পষ্ট যে বিহারে ফের এনডিএ সরকারকে পুনর্নির্বাচিত করবে মানুষ। এনডিএ সরকার বিহারের মহিলাদের জন্য যে কাজ করেছে, তাতে প্রত্যেক মহিলা তাঁদেরই ভোট দেওয়ার ব্যাপারে বদ্ধপরিকর। গরীবদের অধিকার দিয়েছে এনডিএ সরকার। তাই তাঁরা এনডিএ–কে ভোট দেওয়ার ব্যাপারে বদ্ধপরিকর।’
এখন রাজ্যসভায় কংগ্রেসের সাংসদ সংখ্যা কমে হল ৩৮। দেশের ইতিহাসে এই প্রথম কংগ্রেস রাজ্যসভায় নেমে এল ৪০–এরও নীচে। এই নিয়ে আজ সোনিয়া গান্ধী শিবিরকে নিশানা করেন নরেন্দ্র মোদী। মঙ্গলবার বিহার বিধানসভা নির্বাচনের প্রচারে ফোর্বসগঞ্জের সভা থেকে কংগ্রেসকে তুলোধনা করলেন মোদী। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এখন কংগ্রেসের এমন অবস্থা যে আপনি যদি সংসদের দুই কক্ষে কংগ্রেসের সদস্য সংখ্যা যোগ করেন তাহলে দেখবেন তাদের হাতে ১০০ জন সাংসদও নেই। কংগ্রেস কখনও আসল ইস্যুর সমাধান করেনি। তাই তাদের সংখ্যা ১০০ নীচে নেমে গিয়েছে।’
বিহারে দ্বিতীয় দফার নির্বাচন কোভিড নিয়ম মেনে চলছে। মানুষকে ভোটদানের আহ্বান জানিয়ে গণতন্ত্রের উত্সবকে আরও শক্তিশালী করার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। কংগ্রেসকে কটাক্ষের কারণ হল, রাজ্যসভায় ৯ বিজেপি সাংসদ যোগ দেওয়ার পর সংসদের উচ্চকক্ষে এনডিএ’র সদস্য সংখ্যা গিয়ে দাঁড়াল ১১৮। বিজেপি’র একারই ৯৪। এবার কোনও বিল পাস করার ক্ষেত্রে আরও সুবিধেজনক অবস্থায় চলে এল এনডিএ। আর রাজ্যসভায় কংগ্রেসের সাংসদ সংখ্যা মাত্র ৩৮। লোকসভার সাংসদ সংখ্যা যোগ করলে তা দাঁড়ায় ৮৯। অর্থাৎ দুই কক্ষ মিলিয়ে ১০০ নীচে নেমে গেল কংগ্রেস।