বিতর্কিত কৃষি–বিল নিয়ে কৃষকদের ভারত বনধে চাপে পড়ে গেল নরেন্দ্র মোদীর সরকার। তাই শুক্রবার বাধ্য হয়ে পদক্ষেপ করতে হল স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে। এদিন তিনি বিজেপি কর্মীদের নির্দেশ দেন, সমস্ত কৃষকদের কাছে গিয়ে সরল ভাষায় এই কৃষি–বিলের গুরুত্ব এবং সংস্কার বোঝাতে। এই প্রথম কোনও বিল নিয়ে এত তাড়াতাড়ি ব্যাকফুটে গেল সরকার। আর তাতে বিরোধিরা অক্সিজেন পেল বলে মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা।
আজ পণ্ডিত দীনদয়াল উপধ্যায়ের জন্মজয়ন্তী। সেই উপলক্ষ্যে দীনদয়াল উপাধ্যায় গ্রামীণ কৌশল্যা যোজনার শিলান্যাস করেন প্রধানমন্ত্রী। ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে এই অনুষ্ঠান হয়। সেখানেই প্রধানমন্ত্রী কৃষকদের আন্দোলনে তাঁদের বোঝাবার কথা বলেন।
এদিন তিনি বলেন, ‘এই নয়া কৃষি–বিলে ছোট এবং মাঝারি কৃষকরা উপকৃত হবেন। বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ সরকার ইতিহাস তৈরি করেছে এই বিল কৃ্যকদের জন্য নিয়ে এসে। এখানে কৃষকদের ন্যূনতম সহায়ক মূল্য বাড়ানো হয়েছে। এনডিএ সরকার সর্বোতভাবে চেষ্টা করেছে কৃষকদের সঙ্গে ব্যাঙ্কের মেলবন্ধন ঘটাতে। প্রধানমন্ত্রী কিষান সম্মাননিধি যোজনায় এক লক্ষ কোটি টাকা গিয়েছে ১০ কোটি কৃষকের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে।’ এতগুলি কথা বলতে হয়েছে শুধু এই আন্দোলন থামাতে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা।
