নতুন করে কোভিড আতঙ্ক যে ঘাড়ে নিঃশ্বাস ফেলছে, তার প্রমাণ মিলল। বাংলাদেশে ঘোষিত হল লকডাউন। হু হু করে বাড়ছে করোনা আক্রান্তর সংখ্যা। তাই বাড়তি করোনা আক্রান্তর সংখ্যায় লাগাম টানতে ৭ দিনের লকডাউনের পথে হাঁটছে শেখ হাসিনা সরকার। গোটা বাংলাদেশে করোনার করাল থাবা রুখতে ৭ দিনের জাতীয় লকডাউনের কথা জানিয়েছেন আওয়ামী লিগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি জানিয়েছেন, বাংলাদেশে নতুন করে ভয়াবহ হয়ে ওঠা করোনা সংক্রমণকে নিয়ন্ত্রণ করার লক্ষ্যে বাংলাদেশ সরকার এখন এক সপ্তাহের লকডাউন ঘোষণা করেছে।
সংবাদমাধ্যমকে তিনি জানান, সংক্রমণের এই দ্রুত গতিতে রাশ টানার জন্য সরকার এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। গত কয়েকদিন ধরেই উর্ধ্বমুখী বাংলাদেশের করোনা সংক্রমণ। বৃহস্পতিবার–শুক্রবার সংক্রমণ ছাড়িয়েছে ৬ হাজারের গণ্ডি। তাই তড়িঘড়ি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে শেখ হাসিনা প্রশাসন। তার আগে সারা দেশে জাতীয় লকডাউনের পথে হেঁটেছিল ফ্রান্স। সে দেশে সংক্রমণের ঢেউ রুখতে তৃতীয়বার লকডাউন করতে হয়েছে। সংক্রমণের গতিতে পিছিয়ে নেই ভারতও। দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৮৯ হাজার ১২৯ জন।
আগামী ৫ এপ্রিল থেকে লকডাইন শুরু হচ্ছে। তিনি আরও জানান, সমস্ত অফিস–আদালত এই সময়ে বন্ধ থাকবে। তবে শিল্প–কলকারখানায় রোটেশন পদ্ধতিতে কাজ করানো হবে। আপাতত এটা করা হচ্ছে। কারণ এখনই কলকারখানা সব বন্ধ করে দিলে শ্রমিকেরা বাড়ির পথে বেরিয়ে পড়বেন। তাতে হিতে বিপরীত হতে পারে। এখন ভারতে ৪ রাজ্য ও ১ কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে নির্বাচন, সেই আবহে দেশে কি আদৌ লকডাউন হবে? না কি করোনা রুখতে অন্য কোনও পন্থা অবলম্বন করবে কেন্দ্রীয় সরকার।
গত সাত মাসের মধ্যে শুক্রবারেই করোনা সংক্রমণের হার সব চেয়ে বেশি ছিল—২৩.২৮ শতাংশ। এদিন ২৪ ঘণ্টায় ৫০জনের মৃত্যু হয়েছে। লকডাউন সংক্রান্ত অন্যান্য জরুরি ঘোষণা অচিরেই করা হবে বলে জানানো হয়েছে সে দেশের তরফে।