দেশ লিড নিউজ

মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি দিলেন কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রী

রাজ‌্য সরকার সহযোগিতা করলেই প্রধানমন্ত্রী কিষাণ সম্মান নিধির টাকা সরাসরি পেতে পারেন বাংলার কৃষকরা। মুখ‌্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি দিয়ে এই কথা জানালেন কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রী নরেন্দ্র সিং তোমর। এদিন চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য দাবি করেন, ২০১১ সালে তৃণমূল এই রাজ্যে ক্ষমতায় আসার পর কৃষকদের উপার্জন তিন গুণ বেড়েছে। যদিও এই প্রকল্পে দু’একরের কম জমি যাঁদের রয়েছে, সেই কৃষকরা বছরে তিনটি কিস্তিতে দু’হাজার টাকা করে মোট ছ’হাজার টাকা পান। সম্প্রতি এই প্রকল্পে নতুন করে ন’কোটি কৃষকের জন‌্য ১৮ হাজার কোটি টাকা বন্টন করেছে কেন্দ্র। তবে ‘কৃষকবন্ধু’ নামে নিজস্ব আলাদা প্রকল্প থাকায় এতদিন এই সুবিধা পাচ্ছিলেন না ছিলেন বাংলার কৃষকরা বলে অভিযোগ। তবে রাজ্যের প্রকল্পে একরপিছু আড়াই হাজার টাকা করে দু’টি কিস্তিতে বছরে পাঁচ হাজার টাকা পান বঙ্গ অন্নদাতারা। কৃষক স্বার্থে সোমবারই মুখ‌্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কেন্দ্রের প্রকল্প চালুর অনুমতি দেন।
মুখ‌্যমন্ত্রীকে যে চিঠি দিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী, তাতে স্পষ্ট উল্লেখ করা হয়েছে যে, রাজ‌্য সহযোগিতা করলেই কৃষকদের ব্যাংক অ‌্যাকাউন্টে সরাসরি ঢুকে যাবে কেন্দ্রীয় প্রকল্পের টাকা। অর্থাৎ, আরও একবার স্পষ্ট করে দেওয়া হল যে, কিছুতেই রাজ‌্য মারফত টাকা দেওয়া হবে না। বরং রাজ‌্য যত তাড়াতাড়ি আবেদনকারীদের নামের তালিকা যাচাই করে কেন্দ্রের কাছে পাঠিয়ে দেবে, তত তাড়াতাড়ি কৃষকদের অ‌্যাকাউন্টে টাকা পাঠিয়ে দেবে কেন্দ্র। পাল্টা চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য বলেন, ‘‌অন্য রাজ্যে শস্যবিমার প্রিমিয়াম দিতে হয় কৃযকদের। কিন্তু আমাদের রাজ্যে বাংলার সরকার এই প্রিমিয়াম দেয়। ২০২২ সালের মধ্যে কৃষকদেরর উপার্জন দ্বিগুণ হবে বলেছে কেন্দ্রীয় সরকার। কিন্তু হিসেব বলছে, ২০২৮ সালের আগে কখনওই কৃষকদের উপার্জন দ্বিগুণ হবে না। এদিকে বাংলার কৃষকদের উপার্জন তিন গুণ বেড়েছে তৃণমূল আসার পর।’‌
উল্লেখ্য, সদ্য রাজ্যে এসে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বাংলায় এই প্রকল্প চালু না করায় রাজ্য সরকারকে বিঁধেছেন। তাঁর অভিযোগ, সংকীর্ণ রাজনীতির স্বার্থে রাজ্যের কৃষকদের বঞ্চিত করছেন মুখ্যমন্ত্রী। শুধু কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নন, রাজ্যপাল জগদীপ ধনকারও একইভাবে কেন্দ্রের প্রকল্প চালু না হওয়ায় রাজ্য সরকারের সমালোচনা করেছেন। তাঁর অভিযোগ, মমতা সরকারের অনড় মনোভাবের জন্য রাজ্যের ৭০ লক্ষ কৃষক বঞ্চিত।