আমেরিকার ৪৬তম প্রেসিডেন্ট জো বিডেনকে অভিনন্দন জানিয়ে একসঙ্গে কাজ করে এগিয়ে যাওয়ার প্রত্যাশা প্রকাশ করলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। পেনসিলভেনিয়ার ফল ঘোষণার পরেই ডেমোক্র্যাট প্রার্থী জো বিডেনের জয় সুনিশ্চিত হয়ে যায়। তখনই বিডেনের উদ্দেশ্যে টুইট করেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী। সুতরাং বন্ধু ট্রাম্পের চ্যাপ্টার ক্লোজ হয়ে শুরু হল বিডেন চ্যাপ্টার বলে মনে করছেন বিশ্বের কূটনীতিকরা।
বিডেনের জয়কে দর্শনীয় বলে উল্লেখ করে তাঁকে অভিনন্দন জানান মোদী। তাঁর উদ্দেশ্যে প্রধানমন্ত্রী টুইটারে লিখেছেন, ভারত–আমেরিকা সম্পর্ক শক্তিশালী করে তুলতে আপনার অবদান গুরুত্বপূর্ণ এবং অমূল্য ছিল। ভারত–মার্কিন সম্পর্ককে উল্লেখযোগ্য উচ্চতায় নিয়ে যাওয়ার জন্য আরও একবার আমি আপনার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ হয়ে কাজ করার অপেক্ষায় রয়েছি। আশারাখি ভারত–আমেরিকা দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে আরও উচ্চতায় নিয়ে যেতে একত্রে কাজ করবে।
এদিকে তুমুল লড়াই আর তিক্ততার পর পেনসিলভেনিয়ায় জয়ের মধ্য দিয়ে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে হারিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ৪৬তম প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন জো বিডেন। সেইসঙ্গে সবচেয়ে বেশি বয়সে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার ইতিহাসও গড়েন বিডেন। মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার জন্য প্রয়োজন ছিল ২৭০টি ইলেকটোরাল কলেজ ভোট। বিডেন পেয়েছেন ২৮৪টি। তাঁর এই জয়ের ফলে কমলা হ্যারিস হতে চলেছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম মহিলা ভাইস প্রেসিডেন্ট।
নরেন্দ্র মোদী হার্দিক অভিনন্দন জানান ভাইস–প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত কমলা হ্যারিসকেও। প্রধানমন্ত্রী লিখেছেন, আপনার সাফল্য সমগ্র ভারতীয় এবং আমেরিকানদের জন্য গর্বের বিষয়। আমি নিশ্চিত যে প্রাণবন্ত ভারত–মার্কিন সম্পর্ক আপনার সমর্থন এবং নেতৃত্বের মাধ্যমে আরও জোরদার হবে। তাঁকে অভিনন্দন জানিয়েছেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীও। তিনি লেখেন, প্রেসিডেন্ট–পদে নির্বাচিত জো বিডেনকে অভিনন্দন। আমি নিশ্চিত যে তিনি আমেরিকাকে ঐক্যবদ্ধ করবেন এবং দেশকে দৃঢ় দিকনির্দেশ দিয়ে এগিয়ে যাবেন। উল্লেখ্য, এই বিডেন ও হ্যারিস উভয়েই কিন্তু নরেন্দ্র মোদীর কাশ্মীর নীতির প্রকাশ্যে বিরোধিতা করেছেন। বিরোধিতা করেছেন নাগরিকত্ব আইনেরও। সুতরাং নতুন পরিস্থিতি বুঝে কূটনীতির ঘুঁটি সাজাতে হবে নয়াদিল্লিকে।