গেরুয়া শিবিরে ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে বাংলার সংগঠনে প্রবেশ করিয়ে দেওয়া হয়েছে। যাকে বলা হচ্ছে টিম অমিত শাহ। দিলীপ ঘোষের কথা অনুযায়ী, ডিসেম্বর মাস থেকে রাজ্যে একাধিকবার আসতে পারেন জে পি নাড্ডা থেকে অমিত শাহ। কিন্তু খবর মিলেছে, পশ্চিমবঙ্গে বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি’র প্রচারে মুখ হিসাবে থাকবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীই। তিনিই যে প্রধান ‘মুখ’ সেকথা বহুদিন আগে ঠিক করে রেখেছে বিজেপি। এবার শুধু মোদীর কর্মসূচি চূড়ান্ত করার পালা।
বিজেপি সূত্রে খবর, বাংলায় এক ডজনেরও বেশি নির্বাচনী জনসভা করবেন প্রধানমন্ত্রী। ভোটের দিন ঘোষণার পরে জনসভা শুরু হলেও বাংলায় প্রধানমন্ত্রীর প্রচার অবশ্য তার অনেক আগেই শুরু হয়ে যাবে। জানুয়ারি মাস থেকেই প্রধানমন্ত্রীকে দিয়ে বাংলায় প্রচারের কাজ শুরু করে দেবে বিজেপি। মোদী কখনও ভার্চুয়াল মাধ্যমে, কখনও বা সশরীরে হাজির থাকবেন বাংলায়। অবশ্য তড়িঘড়ি এখনই প্রধানমন্ত্রীকে দিয়ে প্রচার শুরু করা হবে না বলে ঠিক করেছে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব।
রাজ্যে নির্বাচনী প্রচার যখন তুঙ্গে থাকবে তখনই বিজেপি’র পালে হাওয়া তুলতে মাঠে নামবেন নরেন্দ্র মোদী। মোদীর সঙ্গে দলের তারকা প্রচারকদেরও বাংলায় ভোট প্রচারে নামানো হবে বলে ঠিক করেছে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথকে বাংলার নির্বাচনে প্রচারের কাজে বিশেষভাবে ব্যবহার করা হবে। মোদীর পরেই তিনিই সবথেকে বেশি সংখ্যক জনসভা করবেন। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানির মতো তুখোড় বক্তাদের বেশি করে ব্যবহার করা হবে। এমনকী হেমা মালিনী, জয়াপ্রদা, রবি কিষেণ, মনোজ তিওয়ারির মতো ফিল্মি দুনিয়া থেকে রাজনীতির ময়দানে আসা তারকাদেরও বাংলায় ভোট প্রচারে ব্যবহার করা হবে।
একঝাঁক কেন্দ্রীয় মন্ত্রীও রাজ্যে জনসভা করবেন। বেশ কয়েকজন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণা হলেই বাংলায় ঘাঁটি গাড়বেন বলে খবর। বাংলা নির্বাচনের প্রচারকে অন্যমাত্রায় নিয়ে যেতে চাইছেন বাংলার ভোট প্রচারের রণকৌশল রচনার অন্যতম কারিগর অমিত শাহ। তবে, সবটাই নির্ভর করছে দেশের করোনা পরিস্থিতির উপরে। প্ল্যান–বি হিসাবে দলের আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্যকে বাংলায় দলের সহ–পর্যবেক্ষক হিসেবে নিয়োগ করা হয়েছে। এই প্রথমবার মালব্যকে কোনও রাজ্যের সাংগঠনিক দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। করোনার জেরে সশরীরে প্রচারের ক্ষেত্রে যে ঘাটতি থাকবে তা মালব্য ফেসবুক, টুইটার ও হোয়াটসঅ্যাপের মতো সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে প্রচার করে যে পুষিয়ে দেবেন তা জেনেই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত আরেক অমিতকে বাংলায় পাঠিয়েছেন।