রাজ্য

মুখ্যমন্ত্রীর অভিযোগের জবাব কমিশনের

নন্দীগ্রামের বয়াল ৭ নম্বর বুথের, মোকতাব প্রাথমিক বিদ্যালয়ে, ভোটগ্রহণ নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর চিঠির প্রেক্ষিতে মিনিটস ধরে ধরে উত্তর দিল নির্বাচন কমিশন। আর স্পষ্ট জানাল, ‘‌আপনার হাতে লেখা চিঠিতে করা অভিযোগ তথ্যগতভাবে ভুল। এই অভিযোগের স্বপক্ষে কোনও সুনির্দিষ্ট প্রমাণও নেই।’‌ মমতার হাতে লেখা অভিযোগটিকে ‘‌সত্যিই ভুল’‌ আখ্যা দিয়ে্যে কমিশন বলেছে।
ভোটকেন্দ্রে মমতার পদক্ষেপ, পশ্চিমবঙ্গ এবং অন্য কোনও রাজ্যের আইনশৃঙ্খলাজনিত বিষয়ের উপর বিপরীত প্রভাব ফেলতে পারে বলে মনে করছে কমিশন। একপক্ষের এজেন্টকে বসতে না দেওয়ার অভিযোগ, অন্যপক্ষের ছাপ্পা ভোটের অভিযোগ, দুয়ের প্রেক্ষিতে কার্যত সংঘর্ষ পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছিল সেদিন বয়াল ৭ নম্বর বুথে। প্রায় ২ ঘণ্টা সেদিন ওই বুথে ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। বুথে বসেই তিনি কেন্দ্রীয় বাহিনী ও পোলিং অফিসারদের বিরুদ্ধে ছাপ্পা ভোটে মদতদানের অভিযোগে চিঠি লেখেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার সুদীপ জৈনকে। সেই চিঠির পরিপ্রেক্ষিতেই এবার কড়া উত্তর দিল নির্বাচন কমিশন। যেখানে সাফ খারিজ করা হয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর অভিযোগ।
একই সঙ্গে কমিশন বলেছে, তারা নির্বাচনী আচরণবিধি এবং জনপ্রতিনিধিত্ব আইনের প্রাসঙ্গিক ধারাগুলির অধীনে পদক্ষেপ নেওয়ার বিষয়ে চিন্তাভাবনা করছে। কমিশন জবাবি চিঠিতে আরও জানিয়েছে যে, সেদিন বুথের নিরাপত্তায় থাকা বিএসএফ জওয়ানদের দুর্ব্যবহারের কোনও প্রমাণ মেলেনি। আর তাদের বিরুদ্ধে ভোটারদের বুথে ঢুকতে না দেওয়ার যে অভিযোগ উঠেছে তা একদমই সত্যি নয়। বিভিন্ন স্তরের আধিকারিকরা সেদিন বয়াল ৭ নম্বর বুথের ভোটগ্রহণ নিয়ে যে রিপোর্ট কমিশনে জমা দিয়েছে, তাতে কোথাও বহিরাগত বা বন্দুক দেখিয়ে দুষ্কৃতীদের বুথ দখলের কোনও অভিযোগ নেই।
উল্লেখ্য, গত ১ এপ্রিল নন্দীগ্রামের ভোটগ্রহণের দিন পোলিং এজেন্টকে বুথে ঢুকতে না দেওয়ার অভিযোগে সরব হয় তৃণমূল। বেলা সওয়া ১টা নাগাদ ওই বুথে যান মমতা। তিনি বয়ালে পৌঁছাতেই পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। যে স্কুলে বুথ, তার বারান্দায় হুইলচেয়ারে বসেছিলেন মমতা। ওই বুথ থেকেই ফোনে রাজ্যপালের কাছে ভোটলুঠের অভিযোগ করেন মমতা।