উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাটের হিঙ্গলগঞ্জ ব্লকের প্রত্যন্ত অঞ্চল সুন্দরবনের বাঁকড়া, স্যান্ডেলের বিল, চাড়ালখালি, সামসের নগর, ঘোজাডাঙ্গা, পানির, মেরুদন্ডী, গাছা, আখারপুর, হাকিমপুর, চারঘাট সহ বিভিন্ন গ্রামে শীত পড়তেই নলেন গুড় ও পাটালির কথা মনে পড়ে যায়। খাদ্য রসিক বাঙালিরও নলেন গুড়ের কথা বলতেই জিভে আসে জল, আর সেই নলেন গুড়ের পাটালি তৈরি করতে এখন সীমান্ত থেকে সুন্দরবনে খেজুর গাছ কাটার শিউলির বেশ অভাব। কেননা পরিশ্রম বেশি, অর্থ রোজগার কম। তাই এই পেশা থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন শিউলিরা।
শীত পড়লে মুর্শিদাবাদ থেকে ৫০ – ৬০ জন শিউলি আস্তানা হয় সুন্দরবনের প্রত্যন্ত অঞ্চলে। প্রকৃতপক্ষে তাদের জীবন জীবিকার টানে ঠাঁই হয় এইসব অঞ্চলে।
কমবেশি তিন মাস ধরে বিভিন্ন গ্রামেগঞ্জে খেজুরের গাছ কেটে মাটির হাঁড়ি বসিয়ে রস বের করা হয়। আর সেই রস আগুনে জ্বাল দিয়ে নলেন গুড় বা পাটালি তৈরি হয়। আর সেই সব নলেন গুড় ব্যবহার করা হয় সন্দেশ, রসগোল্লা, মোয়া সহ্য বিভিন্ন মিষ্টি উপকরণে। যা রাজ্য ছাড়িয়ে ভিন রাজ্য এমনকি সুদূর বিদেশেও রপ্তানি করা হয়। আর এবার সেই নলেন গুড়ের পাটালি জি.আই তকমা যাতে পেতে পারে সেই দাবি তুললেন সমাজের বিশিষ্টজনরা।
বিশিষ্ট সমাজকর্মী ছন্দক বাইন বলেন, “শতাব্দী প্রাচীন এই সুন্দরবন অঞ্চলের নলেন গুড়ের পাটালি জড়িয়ে রয়েছে বাঙালির মননে। তাই সুন্দরবনের নলেন গুড়ের পাটালি যাতে জি.আই তকমা পায়, আমরা সেই দাবি জানাচ্ছি।”