এবার কড়া সিদ্ধান্ত নিল নবান্ন। ঋণ নিয়ে পড়াশোনা করতে চাইলে কোনও পড়ুয়ার কাছ থেকে জমি-বাড়ি চাইতে পারবে না ব্যাঙ্ক। আজ এই সিদ্ধান্ত স্পষ্ট জানিয়ে দিল রাজ্য সরকার। এমনকী চাওয়া যাবে না বাড়ি, জমির দলিলও। এই বিষয়ে বিভিন্ন ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করেন রাজ্যের মুখ্যসচিব হরেকৃষ্ণ দ্বিবেদী।
এই ঋণের দায় নিয়েছে রাজ্য সরকার। তাহলে রাজ্য যেখানে গ্যারান্টার সেখানে কীভাবে দলিল চাইতে পারে ব্যাঙ্ক? এই প্রশ্ন তুলেছেন মুখ্যসচিব। তিনি বলেন, ‘জেলা থেকে খবর পাওয়া গিয়েছে অনেক ক্ষেত্রেই পড়ুয়াদের জমি-বাড়ি বন্ধক দেওয়ার কথা বলা হচ্ছে।’ এরপরই মুখ্যসচিবের তোপের মুখে পড়ে সহযোহিতার আশ্বাস দেয় ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ।
ব্যাঙ্কগুলির পক্ষ থেকে জবাবে জানানো হয়েছে, ১৫ দিনের মধ্যে স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ডের বিষয়টি সমাধান করা হবে। নবান্ন সূত্রে খবর, বৈঠকে নুখ্যসচিব ক্ষোভ উগরে দিয়ে বলেন, কিছুক্ষেত্রে রাজ্যের উন্নয়নমূলক প্রকল্পের সঙ্গে সহযোহিতা করছে না বেশকিছু ব্যাঙ্ক। বেসরকারি ব্যাঙ্কগুলি যদি সহযোগিতা না করে সেক্ষেত্রে রাজ্য তাদের সঙ্গে লেনদেন করবে না।
উল্লেখ্য, কিষাণ ক্রেডিট কার্ড, স্টেুডেন্ট লোন, স্বনির্ভর গোষ্ঠীর টাকা ব্যাঙ্কের মাধ্যমেই সরাসরি পৌঁছে যায় গ্রাহকদের কাছে। ঋণ না দিলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে, এই মর্মে আগেই হুঁশিয়ারি দিয়েছিল সরকার। নবান্ন সূত্রে খবর, ঋণ নিতে গিয়ে গ্রাহকদের হয়রানির অভিযোগ এসেছে। যে সরকারি প্রকল্পগুলো ব্যাঙ্কের মাধ্যমে উপভোক্তাদের মধ্যে পৌঁছে যায় সে সমস্ত ক্ষেত্রে সাহায্য করছে না কয়েকটি বেসরকারি ব্যাঙ্ক।