দুয়ারে সরকার নিয়ে প্রতিটি জেলায় একজন করে সিনিয়র আইএএস অফিসারকে নোডাল অফিসার হিসেবে নিয়োগ করল নবান্ন। নোডাল অফিসাররা জেলায় গিয়ে শিবির পরিদর্শন করে মুখ্যসচিবকে রিপোর্ট দেবেন। অনেক আইএএস অফিসার জেলায় যান। তাঁদের দেওয়া রিপোর্টের ভিত্তিতে পরবর্তী ক্ষেত্রে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। গত পাঁচদিনে দুয়ারে শিবিরে ৭৮ লক্ষ মানুষ আবেদন করেছে। তার মধ্যে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারে আবেদন জমা পড়েছে প্রায় ৫০ লক্ষ।
১৬ আগস্ট শুরু হওয়া এই শিবিরে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পের ফর্মের জন্য সবথেকে বেশি উৎসাহ দেখা দিয়েছে। বিভিন্ন ক্যাম্পে মহিলাদের ভিড় বেশি দেখা যাচ্ছে। যাতে ভিড় কমে তাই বুথে বুথে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের ফর্ম দেওয়ার জন্য ক্যাম্প করতে জেলাশাসকদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তবে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট করার জন্য বিভিন্ন ব্যাঙ্কেও মহিলাদের দীর্ঘলাইন দেখা যাচ্ছে। মহিলাদের ফর্ম পূরণ করতে যাতে অসুবিধা না হয়, তার জন্য হেল্প ডেস্ক করতেও বলা হয়েছে।
জেলায় জেলায় যে ক্যাম্প হয়েছে সেই সংখ্যাও ছিল দু’হাজারের বেশি। তবে হিসেব অনুযায়ী সবচেয়ে বেশি ফর্ম জমা পড়ছে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলায়। মানুষের ভিড় দেখে যাতে দুয়ারে সরকার শিবির নির্বিঘ্নে হয়, তার জন্য নোডাল অফিসার নিয়োগ করা হয়েছে। প্রত্যেকদিনই নবান্ন থেকে দুয়ারে সরকার শিবিরের গতিপ্রকৃতির উপর নজরদারি করা হয়। একজন মহিলা আইএএস অফিসার এর জন্য বিশেষ দায়িত্বে রয়েছেন। কন্ট্রোল রুমে কোনও অভিযোগ এলে সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নিতেও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এর আগে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ বৃদ্ধির সময় এইভাবে নোডাল অফিসার নিয়োগ করে জেলায় জেলায় পাঠানোয় উপকৃত হয়েছিল রাজ্য প্রশাসন। আগামী ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এই শিবির চলবে, তা নির্বিঘ্নে করাটাই এখন নবান্নের কাছে বড় চ্যালেঞ্জ।