জেলা

জেলাগুলিতে কড়া নির্দেশ নবান্নের

করোনা বিধিকে গুরুত্ব দিয়ে নবান্নের তরফে জেলায় জেলায় নির্দেশ পাঠানো হয়েছে। করোনার পরিস্থিতি নিয়ে স্বাস্থ্যদপ্তরের কর্তা ও জেলাশাসকদের সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠক করেছেন মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী। সেই বৈঠকে ভ্যাকসিন দেওয়ার কাজকর্ম নিয়ে আলোচনা হয়। বস্তি এলাকায় ভ্যাকসিন দেওয়ার জন্য তিনি নির্দেশ দিয়েছেন। মাস্ক পরা এবং রাতের বিধিনিষেধ নিয়ে আরও কড়াকড়ি করতে হবে। নবান্নের শীর্ষকর্তাদের মতে, রাত ৯টা থেকে ভোর ৫টা পর্যন্ত যে বিধিনিষেধ রয়েছে তা সেই মতো মানা হচ্ছে না। বিশেষ করে হোটেল, রেস্তরাঁতে বিধিনিষেধ অমান্য করার ঘটনা ঘটছে।

তৃতীয় ঢেউ নিয়ে সতর্ক নবান্ন। তাই এখন থেকে জেলাপ্রশাসনগুলিকে সতর্ক করা হয়েছে। নির্দেশ পাঠিয়ে বলা হয়েছে, রাতে নাকা চেকিং আরও বাড়াতে হবে। প্রয়োজন হলে আবগারি দপ্তরের ফ্লাইং স্কোয়াড নামাতে হবে। জেলার প্রত্যেকটি গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা এবং প্রধান রাস্তাতেও তল্লাশি বাড়াতে হবে। পুলিশ সুপার ও পুলিশ কমিশনারকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, আইন লঙ্ঘনকারীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

আন্তঃরাজ্য সীমানা এবং আন্তর্জাতিক সীমান্তগুলিতে চেকিং করতে হবে। আগামী ৩০ জুলাই পর্যন্ত রাজ্যে বিধিনিষেধ রয়েছে। এখনও সর্বসাধারণের জন্য লোকাল ট্রেন চালু করার অনুমতি দেওয়া হয়নি। তবে মেট্রো রেল চলছে। অধিকাংশ ক্ষেত্রে ছাড় দেওয়া হয়েছে। কিন্তু সিনেমা হল, সুইমিং পুল–সহ বেশকিছু ক্ষেত্রে এখনও কড়াকড়ি রয়েছে। করোনা সংক্রমণ আগের তুলনা কম হলেও তৃতীয় ঢেউ কীভাবে প্রভাব বিস্তার করবে তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছে নবান্নের কর্তাব্যক্তিরা। মঙ্গলবার স্বাস্থ্যদপ্তরের কর্তা ও জেলাশাসকদের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি। এছাড়াও সম্প্রতি তৈরি হওয়া বালি খাদান নীতি নিয়ে আলোচনা করেন মুখ্যসচিব। কীভাবে বালি চুরির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে তার নির্দেশও দেন মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী।