RG Kar হাসপাতালে ডিউটিরত মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় উত্তাল গোটা দেশ। ঘটনার প্রতিবাদে রাজ্য সহ গোটা দেশের বিভিন্ন প্রান্তে মিছিল-আন্দোলন অব্যাহত। পড়ুয়াদের পাশাপাশি রাজনৈতিক দলগুলিও প্রতিবাদ কর্মসূচি নিচ্ছে প্রায় প্রতিদিনই। এই ইস্যুতে আগামী মঙ্গলবার, ২৭ আগস্ট প্রথম নবান্ন অভিযানের ডাক দেওয়া হয়েছে। এই অভিযানের ডাক দিয়েছে ‘পশ্চিমবঙ্গ ছাত্র সমাজ’ নামে একটি অরাজনৈতিক সংগঠন।
তবে ইতিমধ্যেই এই আন্দোলনে নাম জড়িয়েছে বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারীর। শুভেন্দুর ভাইপো এই আন্দোলনের আহ্বায়ক। এই ছাত্র আন্দোলন সংগঠিত করার আহ্বান ছাত্রদের স্বার্থ বিরোধী হয়ে উঠছে কিনা তা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে। ‘পশ্চিমবঙ্গ ছাত্র সমাজ’ নামে ওই সংগঠনের তরফে সোশ্যাল মিডিয়ায় নবান্ন অভিযানের যে ডাক দেওয়া হয়েছে, তাতে শুক্রবারই সম্মতি দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট।
এদিকে, ওইদিনই আবার ইউজিসি নেট পরীক্ষা রয়েছে। ফলে ওইদিন নবান্ন অভিযান হলে পরীক্ষার্থীদের সমস্যা হবে। আইন-শৃঙ্খলা নিয়ে সমস্যা হতে পারে বলেও আশঙ্কা রাজ্য পুলিশ-প্রশাসনের। কার্যত সে কারণেই মঙ্গলবার এই নবান্ন অভিযান ঘিরে যাতে আইনশৃঙ্খলা কোনওভাবে বিপন্ন না হয়, সেদিক নজরে রেখে রাস্তায় নামছে অতিরিক্ত প্রায় চার হাজার পুলিশ।
সূত্রের খবর, ওইদিন নবান্ন ঘিরে থাকবে ২১ জন আইজি এবং ডিআইজি পদমর্যাদার অফিসার থাকছেন। ১৩ জন এসপি বা ডিসি পদমর্যাদার অফিসার। ১৫ জন এডিসিপি বা এসিপি পদমর্যাদার অফিসারও থাকছেন। সেইসঙ্গে থাকছেন ২২ জন এসি বা ডেপুটি এসপি পদমর্যাদার আধিকারিক। থাকছেন ২৬ জন ইনস্পেক্টর পদমর্যাদার অফিসার সহ ২ হাজারের বেশি পুলিশ।
থাকবে র্যাফের বিশেষ বাহিনী। নামানো হচ্ছে জলকামান ও ‘বজ্র’। ড্রোনের মাধ্যমেও চলবে নজরদারি। যে সমস্ত জায়গায় ছাত্রদের আটকানো হবে সেখানে অতিরিক্ত সিসিটিভি বসানোর কাজ শুরু হয়েছে।