বাড়িতে চড়াও হয়ে স্ত্রীকে স্বামীর প্রাণনাশের হুমকি! তার কয়েক ঘন্টা পর আমবাগান থেকে উদ্ধার সিভিক ভলেন্টিয়ারের নিথর দেহ। বৃহস্পতিবার সিভিক ভলান্টিয়ারের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধারকে ঘিরে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়ায় মালদহের চাঁচলের খরবা গ্রাম পঞ্চায়েতের গোপালপুর গ্রামে।
এই ঘটনার পিছনে অবৈধ প্রেমের যোগ রয়েছে বলে জানাচ্ছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। খবর পেয়ে দেহটি উদ্ধার করেছে চাঁচল থানার পুলিশ। মৃত যুবকের নাম মনজির ঔরাঙ্গজেব( ৩৪)। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, বছর সাতেক আগে মনজির সিভিক ভলান্টিয়ারের চাকরি পান৷ চাঁচল থানার অধীনে তিনি কাজ করতেন৷ তার ছয় ও চার বছরের দুটি ছেলেও রয়েছে৷ স্ত্রী ও সন্তান ছাড়া বাড়িতে রয়েছেন বৃদ্ধ বিধবা -মা ও ছোট ভাই৷
আজ সকালে বাড়ি থেকে প্রায় এক কিলোমিটার দূরে একটি আমবাগানে মনজিরের ঝুলন্ত দেহ দেখতে পান সেই সময় মাঠে যাওয়া কয়েকজন কৃষক৷ এরপরেই গ্রাম জুড়ে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে৷ জানা গিয়েছে, চাকরি সূত্রে মনজিরের সঙ্গে খরবা ফাঁড়ির অধীনেই কর্মরত ফিরদৌসি খাতুন ওরফে লিলির সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন তিনি। কিন্তু কিছুদিন ধরে তিনি লিলিকে এড়িয়ে চলছিলেন৷ সম্ভবত নিজের পরিবারের কথা ভেবে তিনি লিলির থেকে দূরে সরার চেষ্টা করছিলেন৷
অভিযোগ, বুধবার সন্ধেয় ৪-৫ জনকে সঙ্গে নিয়ে মনজিরের বাড়িতে চড়াও হন লিলি৷ তিনি মনজিরের মা ও স্ত্রীকে হুমকি দিয়ে আসেন, মনজির তাঁর ফোন ধরছেন না৷ ফোন রিসিভ না করলে তিনি মনজিরকে প্রাণে মেরে ফেলবেন৷ কিছুটা সময় ধরে এমন হুমকি দেওয়ার পর দলবল নিয়ে চলে যান লিলি৷ তারপর থেকেই মনজিরের আর খোঁজ পাচ্ছিলেন না পরিবারের সদস্যরা৷ রাতে বাড়ি ফেরেননি মনজির৷
মৃতের স্ত্রী রুমি খাতুন বলেন, ‘আমার স্বামীকে খুন করা হয়েছে, খুনির কঠোর শাস্তির দাবি করছি।’ অভিযুক্ত ওই মহিলা সিভিক ভলেন্টিয়ার ফিরদৌসী খাতুনকে আটক করেছে চাঁচোল থানার পুলিশ।