সোমবার সামরিক অভ্যুত্থানে আটক করা হল মায়ানমারের প্রধান নেত্রী আন সান সু কি–কে। তাঁর দলের বেশ কয়েকজন প্রথমসারির নেতাকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তার পরেই গোটা দেশে এক বছরের জন্য জরুরি অবস্থা জারি করে দিয়েছে মায়ানমার সেনা। দেশের সেনার হাতে আটক হয়েছেন স্টেট কাউন্সিলর আং সান সু কি। এই ঘটনায় উদ্বেগপ্রকাশ করেছে ভারত ও আমেরিকার মতো দেশগুলি। কেন্দ্রীয় বিদেশমন্ত্রকের পক্ষ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, ভারত মায়ানমারে গণতন্ত্র ফেরানোর পক্ষে।
২০২০ সালের নভেম্বর মাসে মায়ানমারে সাধারণ নির্বাচন হয়। তারপর গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় নির্বাচিত শাসক গোষ্ঠী এবং অসম্ভব শক্তিশালী মায়ানমার সেনার মধ্যে সম্পর্ক ক্রমশ খারাপ হতে থাকে। সেনার অভিযোগ, গোটা নির্বাচন প্রক্রিয়ায় ব্যাপক কারচুপি হয়েছে। মায়ানমারের শাসকদল ‘ন্যাশনাল লিগ অফ ডেমোক্র্যাটিক পার্টি’র মুখপাত্র মায়ও নায়ান্ট রয়টার্সকে জানান, আজ ভোরে আচমকা কাউন্সিলর সু কি, প্রেসিডেন্ট উইন মিন্ট ও অন্য নেতাদের আটক করেছে সেনাবাহিনী।
কারচুপির অভিযোগ তুলে সেনা সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয় প্রেসিডেন্ট এবং ইলেক্টোরাল কমিশনের প্রধানের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করে। তখন থেকেই সামরিক অভ্যুত্থানের শঙ্কা দেখা দিয়েছিল। মায়ানমারকে হুঁশিয়ারি দিয়েছে আমেরিকাও। ওয়াশিংটনের তরফে স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছে, আটক নেতাদের মুক্তি না দিলে এবং দেশে গণতন্ত্র ফেরাতে সংশোধনমূলক পদক্ষেপ না করলে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করবে তারা। হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র জেন সাকি তাঁর বিবৃতিতে জানিয়েছেন, মায়ানমারের নির্বাচনের ফলাফলকে পরিবর্তিত করার কোনও প্রয়াসকে তারা মেনে নেবে না।
জানা গিয়েছে, রেঙ্গুন শহরের গুরুত্বপূর্ণ কিছু জায়গায় সেনা মোতায়েন করা হয়েছে। রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম এমআরটিভি ফেসবুক পোস্টের মধ্যে দিয়ে জানিয়েছে যে প্রযুক্তিগত ত্রুটির জন্য তাদের সম্প্রচার বন্ধ রাখা হয়েছে। গত বছর বিরোধীদের পরাজিত করে ক্ষমতায় ফিরছে আং সান সু কি’র দল ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসি। মায়ানমার সংসদের নিম্নকক্ষের ৪২৫টি আসনের মধ্যে ৩৪৬টিতে জয়ী হয় তারা।
