ক্রমশ ঘনীভূত হচ্ছে পল্লবী খুনের রহস্য। খুন না আত্মহত্যা! তার হদিস এখনো পর্যন্ত করতে পারেনি পুলিশ । তবে রহস্য দানা বাঁধছে। পল্লবী দে-র রহস্যমৃত্যুর ঘটনায় মঙ্গলবার সাগ্নিক চক্রবর্তীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ৷ যদিও সৌমির ঘটনা নিয়ে ঐন্দ্রিলা মুখোপাধ্যায়ের কোনও বক্তব্য পাওয়া যায়নি৷
পল্লবী খুনের পর প্রকাশ্যে এসেছে পুরনো একটি ঘটনা। নাম উঠে আসছে সাগ্নিক চক্রবর্তীর প্রথম প্রেমিকা সৌমি মণ্ডলেরও৷ ইতিমধ্যেই পল্লবীর লিভ ইন পার্টনার সাগ্নিকের বিরুদ্ধে একাধিক মহিলার সঙ্গে সম্পর্ক রাখার অভিযোগ উঠেছে৷ হাওড়ার জগাছার বাসিন্দা সৌমিই সাগ্নিকের প্রথম প্রেমিকা ছিল বলে জানা গিয়েছে।
২০১৪ সালের ১৮ মার্চ হাওড়ার জগাছার বাড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছিল সাগ্নিকের প্রথম প্রেমিকা একাদশ শ্রেণির ছাত্রী সৌমি মণ্ডলের ঝুলন্ত দেহ৷ সৌমির মা ইলা মণ্ডলের দাবি, তাঁর মেয়ের মৃত্যুর জন্য সাগ্নিক এবং ঐন্দ্রিলার সম্পর্কই দায়ী। সাঁতরাগাছির কেন্দ্রীয় বিদ্যালয়ে একসঙ্গে পড়ত সাগ্নিক ও সৌমি৷ প্রেম ছিল দুজনের৷ কিন্তু পরবর্তীতে সম্পর্কে চিড় ধরে৷ সৌমির মা ইলা মণ্ডলের অভিযোগ, ঐন্দ্রিলা মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে সম্পর্কের জেরেই সাগ্নিক এবং সৌমির সম্পর্কে অবনতি হয়৷ তাঁর মেয়েকে খুন করা হয়েছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি৷ পল্লবীর মৃত্যুর পর তাই নিজের মেয়ের অকাল মৃত্যুরও বিচার চাইছেন ইলাদেবী৷ তিনি বলেন, ‘মনে হচ্ছে ছুটে গিয়ে পল্লবীর মায়ের পাশে দাঁড়াই৷’ সৌমির বাবা অজয় মণ্ডলের কথায়, ‘সেই সময় পুলিশ আমাকে সাহায্য করলে আজকে হয়তো পল্লবীর এই পরিণতি হত না৷’