রাতের অন্ধকারে গুলি করে খুন করা হল এক ব্যবসায়ীকে। বীরভূমের ময়ূরেশ্বরের সারদা মোড়ের ঘটনায় যথেষ্ট চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। তবে কী কারণে, কারা এমন হত্যাকাণ্ড ঘটাল, তদন্তে নেমে তার খোঁজখবর শুরু করেছে পুলিশ। ব্যবসায়িক কোন শত্রুতা ছিল কিনা সেটাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
পুলিশ সূত্রে খবর, চার-চারটি গুলিতে কার্যত ঝাঁঝরা হয়ে গিয়েছিল ওই ব্যবসায়ীর শরীর। তবে এখনও পর্যন্ত দুষ্কৃতীরা অধরা। নিহত ব্যবসায়ীর নাম কমলকান্তি দে। তিনি ময়ূরেশ্বরের সারদা মোড়ের একটি পেট্রোল পাম্পের মালিক এবং সাঁইথিয়ার আনচালিয়া ময়দানের বাসিন্দা।
জানা গেছে, প্রতিদিনের মতো সোমবারও ওই ব্যবসায়ী রাত সাড়ে ১১টা নাগাদ পেট্রোল পাম্প বন্ধ করে বাইক চালিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন। পাম্প থেকে কিছুটা এগোতেই ওই ব্যবসায়ী ওরফে রাজুবাবুকে একটি অন্ধকার জায়গায় ওই ঘিরে ধরে বাইক থামায় জনাকয়েক অজ্ঞাতপরিচয় দুষ্কৃতী। তারপরই তাঁকে লক্ষ্য করে চলে এলোপাথাড়ি গুলি। রাতে এত গুলির শব্দ শুনে আশপাশের লোকজন বেরিয়ে এসে দেখেন, রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছেন রাজুবাবু। এরপর তাঁকে সাঁইথিয়া হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, কমলকান্তি ওরফে রাজুবাবু বালিঘাটের ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। পুলিশের অনুমান, তাঁকে পরিকল্পনা করেই খুন কর হয়েছে। তবে পাম্পে কোনও সিসিটিভি ক্যামেরা না থাকায় এবং বাইরে অন্ধকার থাকায় সেখানকার কোন ছবি ধরা পড়েনি কোথাও। তাই দুষ্কৃতিদের চিহ্নিত করতে বেশ বেগ পেতে হচ্ছে তদন্তকারীদের। তবে প্রাথমিকভাবে পুলিশের ধারণা, রাজুবাবুকে লুটের উদ্দেশ্যে গুলি চালানো হয়নি। তাঁকে এভাবে হত্যার পিছনে ব্যবসায়িক কোনও শত্রুতা ছিল কিনা, তা বিশেষ ভাবে খতিয়ে দেখছে ময়ূরেশ্বর থানার পুলিশ। পাশাপাশি বালিঘাট নিয়ে কোনও অবৈধ কারবারে তিনি যুক্ত কি না, তাও দেখা হচ্ছে পুলিশের তরফে।