জেলা

বৌমার রক্তাক্ত দেহ, জখম শাশুড়ি

বাড়ির ভিতর থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার হল বৌমার নিথর দেহ। ওদিকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন শাশুড়িও। রহস্যজনক এই ঘটনাটি ঘটেছে উলুবেড়িয়া নোনা এলাকায়। এই ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।

রোজের মতই নবমীর রাতেও দিদি স্বপ্না চন্দ্রকে ফোন করেছিলেন তাঁর ভাই। কিন্তু বারবার ফোন করার পরেও দিদি ফোন না তোলায় সন্দেহ হয় তাঁর। এরপরই প্রতিবেশীকে ফোন করে জানান তিনি। প্রতিবেশীরা তখন বাড়িতে এসে ডাকাডাকি শুরু করে। কিন্তু ভিতর থেকে কোনও সাড়া না মেলায় খবর দেওয়া হয় পুলিশে। পুলিশ এসে তালা ভেঙে ঘরের ভিতর ঢোকে। ঘরে ঢুকতেই দেখা যায় বৌমা স্বপ্না চন্দ্র রক্তাক্ত অবস্থায় সিঁড়িতে পড়ে আছেন। আর শাশুড়ি মীরা চন্দ্রও জখম অবস্থায় পড়ে রয়েছেন।

তাঁদের পুলিশ উলুবেড়িয়া মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করে। সেখানেই তিনি চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তবে কে বা কারা পুজোর দিনে ঘরে ঢুকে হামলা চালাল, সে বিষয়ে যদিও শাশুড়ি সুনির্দিষ্ট করে কিছু বলতে পারেননি। তাঁর কথায়, কয়েকজন অপরিচিত লোক ঢুকেছিল ঘরের ভিতর। তিনি তাদেরকে ঠিক চিনতে পারেননি।

বাড়িতে বৌমা আর শাশুড়ি ছাড়া একজন কাজের লোক থাকে শুধু। মৃতা স্বপ্না চন্দ্রের ছেলে রাহুল চন্দ্র একটি চিটফান্ডে কাজ করতেন বলে জানা গিয়েছে। অভিযোগ, এলাকায় বহু লোকের থেকে টাকাপয়সা নিয়ে আর ফেরত দেননি তিনি। দেনার দায়ে পলাতক ছেলে। অন্যদিকে, মেয়ে পৌশালী চন্দ্র ওরফে বান্টিও (বয়স ৩৩ বছর) মাস পাঁচেক আগে বিষ খেয়ে আত্মঘাতী হন। স্বামী তপন চন্দ্রের সঙ্গে সম্পর্ক ভালো না হওয়ায়, তিনিও অন্যত্র থাকেন।