রাজ্য

পুরভোট বিশ বাঁও জলে

নির্বাচন কমিশন বিধানসভা নির্বাচন এগিয়ে আনার ইঙ্গিত দেওয়ায় মার্চে পুরভোট করা সম্ভব নয় বলে জানিয়ে দিলেন পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। তাঁর কথায়, বিধানসভা নির্বাচনের আগে পুরভোট হওয়ার কোনও আশা রইল না। বিধানসভা নির্বাচন মিটলে পুরভোট হতে পারে।
একদিকে সুপ্রিম কোর্টে ঝুলে থাকা মামলা, অন্যদিকে রাজ্য বিধানসভা নির্বাচন এগিয়ে আসা, জোড়া প্রাচীরের ধাক্কায় রাজ্য সরকারের পূর্ব প্রস্তাব মেনে মার্চে আর হচ্ছে না পুরভোট। কারণ, আইনশৃঙ্খলা ও প্রশাসন পুরোটাই কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনের অধীনে থাকায় পুরসভা নির্বাচন করার জন্য রাজ্য নির্বাচন কমিশন পুলিশ বা ভোটকর্মী কিছুই পাবে না।
ফিরহাদ জানান, নির্বাচন কমিশনার মার্চে বিধানসভা নির্বাচনের ইঙ্গিত দেওয়ায় ওই সময় পুরভোট করানো সম্ভব নয়। ফেব্রুয়ারিতে ভোট ঘোষণা হলেই প্রশাসন চলে যাবে জাতীয় নির্বাচন কমিশনের নিয়ন্ত্রণে। তাই মার্চে পুর নির্বাচন করানোর পরিকল্পনা বাতিল করতে হয়েছে।
উল্লেখ্য, পুরভোট না করলে ফিরহাদদের সরিয়ে আদালত নিযুক্ত প্রশাসক বসানোর হুমকি দিতেই রাজ্য সরকার সুপ্রিম কোর্টে গত ডিসেম্বর মাসে জানিয়েছিল, নতুন ভোটার তালিকা নিয়েই ওয়ার্ড বিন্যাস শেষেই আগামী ২১ মার্চ কলকাতায় পুরনির্বাচন করতে প্রস্তুত তাঁরা।
গত বছর এপ্রিল থেকে মে মাসের মধ্যে রাজ্যের ১১২টি পুরসভার পুরবোর্ডের মেয়াদ ফুরিয়েছে। সেগুলিতে প্রশাসক বসিয়েছে রাজ্য সরকার। অধিকাংশ জায়গায় বিদায়ী পুরবোর্ডের প্রধানকেই মুখ্য প্রশাসকের চেয়ারে বসানো হয়েছে। এপ্রিল মাসে ভোট করানোর তোড়জোড় শুরু হলেও করোনা পরিস্থিতির জেরে তা বাতিল হয়ে যায়।
রাজ্য নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর, বিধানসভা ভোট এগিয়ে আসায় উদ্ভূত সাংবিধানিক সংকটের জেরে আগামী জুলাই বা আগস্ট মাসের আগে আপাতত কলকাতা বা রাজ্যের অন্য পুরসভাগুলিতেও নির্বাচন হওয়ার কোনও সম্ভাবনা নেই। আর যে দল বিধানসভা নির্বাচনে জয়ী হয়ে নবান্নের দায়িত্ব নেবে তাঁরাই কলকাতা, হাওড়া, শিলিগুড়ি–সহ রাজ্যে ১১২টি পুরসভার সিংহভাগের দখল পাবে।
উদ্ভূত পরিস্থিতিতে জুলাই মাসের আগে পুরভোট হওয়ার সম্ভাবনা কম। বিধানসভা নির্বাচন শেষে নতুন সরকার শপথ নেবে মে মাসে। তারপর পুরভোটের প্রস্তুতি শুরু করলেও জুলাই মাসের আগে ভোটগ্রহণ সম্ভব নয় বলে মনে করা হচ্ছে।