আবার খবরে উঠে এল বড়বাজার। তবে অগ্নিকাণ্ড বা উড়ালপুল ভেঙে পড়ার জন্য নয়। শহরের বুকে প্রাচীন বাড়ি ভেঙে পড়ার জন্য। কলকাতা পুরসভার ৪২ নম্বর ওয়ার্ডের অন্তর্গত এই বাড়িটি ২০০৮ সাল থেকেই বিপজ্জনক হিসেবে চিহ্নিত করেছিল প্রশাসন। ৬ তলা বাড়িটিতে প্রায় ১৫০টি অফিস ও দোকান রয়েছে। সেখানেই বাড়ির পিছনের দিকে বারান্দার একাংশ ভেঙে পড়ে। তখন ৬ তলার অফিসে ছিলেন ১৭ বছরের বিশাল মণ্ডল। ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়। বিপজ্জনক বাড়ি বলে হাত–পা গুটিয়ে বসে না থেকে কেন ভেঙে ফেলা হল না? তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।
এই ঘটনায় ভালরকম আহত হন এক বৃদ্ধও। বিশালকে এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। ভেঙে পড়া বাড়িটিতে একটি অফিসে তাঁর বাবা কাজ করেন। বসিরহাট থেকে বাবার সঙ্গে দেখা করতে এসেছিলেন বিশাল। তারপরেই ঘটে যায় এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা। প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে কলকাতা পুরসভার ভূমিকা নিয়ে।
এই ঘটনার পর সিইএসসি এসে বাড়ির বিদ্যুতের সংযোগ দ্রুত বিচ্ছিন্ন করে দেয়। পুরসভার বিল্ডিং বিভাগের কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। বাড়িটিকে সিল করে দেওয়া হয়েছে। ভেঙে পড়া অংশ সাফাইয়ের কাজ চলছে। এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনার দায় ঝেড়ে ফেলে স্থানীয় ওয়ার্ড কো–অর্ডিনেটর সুনীতা ঝাওয়ার বলেন, ‘বাড়িটি বেশ কয়েকজনের মালিকানাধীন। বহুবার তাঁদের বাড়ি ঠিক করতে বলা হয়েছে। কিন্তু কেউ কথা শোনেনি। আর আজ এমন একটা দুঃখজনক ঘটনা ঘটে গেল।’
এদিন মৃত কিশোরের বাবা অজয় মণ্ডল জানান, আগামী ১৭ সেপ্টেম্বর বিশালের জন্মদিন। বাড়ির উপর তলায় একটি ইউনিয়ন অফিস রয়েছে। সেখানেই ছেলে তাঁর জন্য অপেক্ষা করছিলেন। তিনি আসার আগেই এই ঘটনা ঘটে যায়। এখানে বসবাসও করেন বহু পরিবার। আর তাতেই বিপত্তি।