শুক্রবার বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘরে শুনানিতে মুকুল রায়ের আইনজীবির মন্তব্য ঘিরে শুরু হয়েছে বিতর্ক। মুকুল রায়ের আইনজীবীর দাবি, “মুকুল রায় বিজেপিতেই আছেন। তিনি তৃণমূলে যোগ দেননি।”
শুক্রবার বোলপুরে গিয়েছিলেন মুকুল রায়। পাশে ছিলেন বীরভূম জেলা তৃণমূলের সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। সেই সময় মুকুল রায় বলেন, এই পুর নির্বাচনে সারা রাজ্যে বিপুলভাবে জয়ী হবে বিজেপি। সেই সময় দৃশ্যতই অপ্রস্তুত হয়ে পড়েন সঙ্গে থাকা তৃণমূল নেতারা। পাশে থাকা এক নেতা তৃণমূল বললে, মুকুল রায় বলেন, তৃণমূল তো বটেই। ভারতীয় জনতা পার্টি মানেই তৃণমূল।
তবে এর পরেই ড্যামেজ কন্ট্রোলে নেমে পড়েন বীরভূম তৃণমূলের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। তিনি সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, এই মুকুলদা আর সেই মুকুল দা এক নয়। মুকুলদা অসুস্থ। কখন কী বলে ফেলছেন, তা তিনি নিজেই জানেন না। যা বলছেন, তা দলের কথা নয়। তিনি বলেন, ঈশ্বরের কাছে তাঁর প্রার্থনা মুকুল রায় দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠুন।
গত জুন মাসে মুকুল রায়ে তৃণমূল ভবনে গিয়ে দ্বিতীয়বারের জন্য তৃণমূলের পতাকা হাতে তুলে নিয়েছিলেন। এরপর অগাস্টের শুরুতে কৃষ্ণনগরে যান। তিনি বলেন, তৃণমূল পর্যুদস্ত হবে। বিজেপি কৃষ্ণনগরে স্বমহিমায় প্রতিষ্ঠিত হবে বলেও তিনি মন্তব্য করেছিলেন। সেই সময়ও শুক্রবারের মতো অনেকেই পাশ থেকে ভুল ধরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেন। যদিও ফের বিজেপির পক্ষেই কথা বলেন তিনি।
ছেলে শুভ্রাংশু রায় মুকুল রায়ের এই কথা প্রসঙ্গে বলেছেন, তাঁর মায়ের মৃত্যু এবং বাবা করোনা আক্রান্ত হওয়ার পর থেকে দেহের সোডিয়াম-পটাশিয়ার লেভেল ওঠা-নামা করছে। যে কারণে কী বলছেন, তা নিজেই বুঝতে পারছেন না। মানসিক অবস্থাও ঠিক নেই। তিনি সাংবাদিকদের উদ্দেশে বলেছেন তাঁর বাবার মন্তব্যগুলো যেন বেশি করে দেখানো না হয়। মুকুল রায়ের অবস্থান নিয়ে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা ধোঁয়াশায়। তাঁদের প্রশ্ন সত্যিই কি তিনি অসুস্থ, নাকি বিধায়ক পদ বাঁচাতে ভুল বলছেন, তা দেখতে হবে।