দেশ ব্রেকিং নিউজ

পদের বার্তা দিলেন মুকুল রায়

শুধু নামে কী কাম হয়?‌ সঙ্গে কিছু ক্ষমতাও প্রয়োজন হয়। যার দৌলতে নিজের ওজন বোঝানো যায়। তাই এবার পদাধিকারে ভারী হয়ে উঠতে চাইছেন মুকুল রায়। তিনি জানেন, ওজনদার পদ না থাকলে আগামী বিধানসভা ভোটে ভেল্কি দেখানো কঠিন হবে। তাহলে উপায়?‌ এই অবস্থায় নরেন্দ্র মোদীর মন্ত্রিসভার সদস্য হওয়া যদি না হওয়া যায়, তাহলে মুকুলকে রাজ্যসভার সাংসদ করতে হবে বলে দিল্লিতে তাঁর বিশ্বস্ত সাংসদরা কোমর বেঁধে নেমেছেন।
লোকসভা নির্বাচনে মুকুল ভেল্কি দেখিয়েছেন। এটা বিজেপি’‌র অনেক তাবড় নেতারাও মনে করেন। বিজেপিতে নাম লেখানোর পর তিন বছর কেটে গিয়েছে। অথচ আজও মুকুল দলের জাতীয় কর্মসমিতির সাধারণ সদস্য। গত লোকসভা ভোটে এই রাজ্য থেকে ১৮টি আসনে বিজেপি জেতার পর তাঁর অনুগামীরা আশায় বুক বেঁধেছিলেন, নিশ্চয়ই তাঁকে বিশেষ পদ দিয়ে পুরষ্কৃত করা হবে। কিন্তু স রকম কিছু দেখা যায়নি। ফলে বিধানসভা ভোট যত এগিয়ে আসছে, ততই মরিয়া হয়ে উঠছেন বিজেপিতে মুকুলপন্থীরা।
সূত্রের খবর, দিল্লির বেশ কয়েক জন বিজেপি নেতাও জোর চেষ্টা চালাচ্ছেন মুকুলকে রাজ্যসভার সাংসদ করতে। এমনকী জুলাই মাসে দুই বাঙালি সাংসদ উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের কাছেও ছুটেছিলেন। কারণ, রাজ্যসভার সাংসদ বেণীপ্রসাদ ভার্মার মৃত্যুর পর একটি আসন ফাঁকা হয়েছিল সেখানে। কিন্তু সেখানেও কিছু হয়নি। তাঁদের পরবর্তী টার্গেট দলহীন রাজ্যসভার সাংসদ প্রয়াত অমর সিংয়ের আসনটি। নভেম্বর মাসে উত্তরপ্রদেশে ১০টি রাজ্যসভা আসনে নির্বাচন। যোগ হবে অমর সিংয়ের আসনটিও। এখানে বিজেপি’‌র ৯টি আসন নিশ্চিত। সেখানেই নিজেকে মেলে ধরতে চান মুকুল।
এদিকে অমর সিংয়ের মৃত্যুর ফলে খালি রাজ্যসভার আসনটিতে মুকুলের নাম নিয়ে ভাবনাচিন্তা করছেন দলের শীর্ষ নেতৃত্বও। সেক্ষেত্রে মুকুল জিতলে তিনি বছর দু’‌য়েকের কাছাকাছি রাজ্যসভার সাংসদ থাকবেন। তার মধ্যে বাংলায় বিধানসভার ভোটও হয়ে যাবে। ফলে পরিস্থিতির নিরিখে ব্যবস্থা নিতে পারবেন অমিত শাহ, জেপি নাড্ডারা। অন্যদিকে সেপ্টেম্বর মাসের মধ্যেই দলের নতুন কেন্দ্রীয় পদাধিকারীদের তালিকা ঘোষণা করতে পারেন বিজেপি সভাপতি জেপি নাড্ডা। সেই তালিকায় মুকুলের নাম সহ–সভাপতি হিসেবে থাকলে বঙ্গ–বিজেপিতে দিলীপ ঘোষের আধিপত্য কিছুটা ধাক্কা খাবে বলে মনে করা হচ্ছে।