দেশ ব্রেকিং নিউজ

মুকুলই সেকেন্ড–ইন–কমান্ড

কলকাতার মেয়ো রোডের সভায় এসে কৈলাশ বিজয়বর্গীয় বলেছিলেন, মুকুলই প্রধান কারিগর। তখন অনেকে বুঝতে পারেনি খেলাটা ঠিক কোথায় হয়েছিল!‌ এবার তা প্রকাশ্যে এল। তৃণমূলের পর বিজেপি’‌রও অন্যতম শীর্ষ পদের দায়িত্ব পেলেন মুকুল রায়। দলের সর্বভারতীয় সহ–সভাপতি করা হল তাঁকে। শনিবার সভাপতি জে পি নাড্ডার নেতৃত্বে দল পরিচালনায় নতুন কমিটি গঠন করা হয়েছে। সেখানেই তিনি এখন সেকেন্ড–ইন–কমান্ড। তাহলে দিলীপ ঘোষের সঙ্গে মুকুলের সম্পর্কটা এখন কেমন হবে?‌
সর্বভারতীয় সচিবের তালিকায় রয়েছে অনুপম হাজরার নাম।

বিজেপিতে যোগদানের পর থেকেই মুকুলের পদ নিয়ে দড়ি টানাটানি চলছিল। সম্প্রতি বিজেপি’‌র নবগঠিত রাজ্য কমিটিতে মুকুলের ঠাঁই হয়নি। তখনই দিল্লিতে গিয়ে বিদ্রোহ করেন মুকুল। এমনকী দিল্লিতে দলের গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক ছেড়ে কলকাতা ফিরে আসেন।
তারপর কেটে গিয়েছে বেশ কয়েকটা দিন। তবে কলকাতার রাজপথে দাঁড়িয়ে মুকুলকে আশ্বস্ত করেছিলেন কৈলাশ। অবশেষে বিজেপিতে পদোন্নতি হল মুকুল রায়ের। শনিবার প্রকাশিত হয়েছে কেন্দ্রীয় বিজেপি’‌র নতুন পদাধিকারীদের তালিকা। মুকুলের সঙ্গে সহ–সভাপতির দায়িত্বে রয়েছেন, ছত্তিশগড়ের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী রমন সিং, রাজস্থানের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বসুন্ধরা রাজে সিন্ধিয়া, ওড়িশার জয় পান্ডা। কিন্তু তাঁরা যে যার রাজ্যে। বাংলা থেকে মুকুলই সেরা বাছাই।

মুকুল রায়কে সাংগঠনিক পদ দিল বিজেপি। বিজেপি’‌র গঠনকাঠামোর দ্বিতীয় সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ পদ সহ–সভাপতি। ফলে এক কথায় পদোন্নতিই হল মুকুলের। দলের সর্বভারতীয় সচিবের তালিকায় রয়েছে অনুপম হাজরার নাম। যাদবপুরে মিমির কাছে ভোটে হারলেও নিয়মিত মাঠে ময়দানে রয়েছেন তিনি। রাজ্য কমিটিতে তাঁর জায়গা না হওয়ায় কিছুটা ক্ষুব্ধ ছিলেন তিনিও। শেষমেষ কেন্দ্রীয় কমিটিতে জায়গা দেওয়া হল তাঁকেও। এছাড়া দার্জিলিংয়ের সাংসদ রাজু বিস্তকে দলের সর্বভারতীয় মুখপাত্রের তালিকা অন্তর্ভূক্তি করা হয়েছে। এখন দেখার রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনে এই ত্রয়ী কতটা কার্যকরী ভূমিকা নেয়।