দেশ লিড নিউজ

মমতার বিরুদ্ধে নন্দীগ্রামে প্রার্থী মুকুল!‌

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে নন্দীগ্রামে প্রার্থী হচ্ছেন মুকুল রায়?‌ এই প্রশ্নই এখন রাজ্য–রাজনীতিতে প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠেছে। কারণ শনিবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে একই ভাষায় টুইট করেছেন একাধিক বিজেপি নেতা। নন্দীগ্রাম আসনকে কেন্দ্র করেই তাঁরা নিশানা করেছেন মুখ্যমন্ত্রীকে। সেই ঘটনার রেশ ধরেই উঠে এসেছে আরও এই প্রশ্ন। এখন শুভেন্দু অধিকারীর মুখে শোনা যাচ্ছে না যে, মমতাকে হারাতে আমি প্রার্থী হবো নন্দীগ্রাম থেকে। বরং তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে শুভেন্দু অধিকারীকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়ে বলা হয়েছিল, বাপের বেটা হলে নন্দীগ্রাম থেকে দাঁড়াক। তারপর থেকেই আর নন্দীগ্রাম থেকে প্রার্থী হওয়ার কথা বলছেন না শুভেন্দু। উলটে বলছেন দল ঠিক করবে কে প্রার্থী হবে।
সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশ, নন্দীগ্রাম–মমতাকে নিয়ে প্রথম টুইটটি করেন বিজেপির পশ্চিমবঙ্গ পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয়। তারপর একে একে অনেকেই তা করেছেন। একই প্রসঙ্গ টেনে টুইট করেছেন বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতা মুকুল রায়। আর তাঁর লেখা থেকেই এই জল্পনার সূত্রপাত। এতদিন তিনি পেছন থেকে খেলে কিংমেকার হয়েছেন। কিন্তু কিং হতে পারেননি। তাই দলের অন্দরের খবর, মনে ইচ্ছা তিনি ব্যক্ত করেছেন অমিত শাহের কাছে। তারপরই অমিত শাহ বঙ্গ–সফরে এসে বারবার বলেছেন বাংলার ভূমিপুত্রই হবে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। বাংলায় পড়াশোনা করা, বসবাস করা বঙ্গ–সন্তানই হবে মুখ্যমন্ত্রী।
তবে এদিন মুকুল রায় টুইটে লিখেছেন, ‘‌বিধানসভা নির্বাচনে নন্দীগ্রাম থেকে প্রার্থী হবেন বলে নিজেই ঘোষণা করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ওই কেন্দ্র থেকে তিনি জিতবেন, এমনটা সুনিশ্চিত হলে তবেই ঘোষণা করুন যে, ওই কেন্দ্র থেকেই তিনি লড়বেন। পরে যেন মুখ্যমন্ত্রী কথার খেলাপ না করেন। না হলে তিনি কী করবেন, তা জানা আছে।’‌ একদিকে অমিত শাহের দাবি অন্যদিকে মুকুল রায়ের মন্তব্য—এই দুইয়ের কোলাজ জন্ম দিয়েছে মমতার বিরুদ্ধে প্রার্থী হওয়ার গুঞ্জন।
এই পরিস্থিতিতে এক নেটিজেন টুইটারে মুকুলের উদ্দেশ্যে প্রশ্ন ছুঁড়েছেন—তিনি কোথা থেকে দাঁড়াবেন?‌ মুকুল দা আপনি কি দিদির বিপক্ষে নন্দীগ্রাম থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন?‌ উল্লেখ্য, সম্প্রতি নন্দীগ্রামে সভা করতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেন, তিনি ভবানীপুরের পাশাপাশি নন্দীগ্রাম থেকে প্রার্থী হবেন। তার পর থেকেই চলছে নানান জল্পনা।