জেলা

কাদের ফোন পেলেন মুকুল রায়?

এখন বেসুরোদের নিয়ে এবার অস্বস্তি গেরুয়া শিবিরে। কারণ মুকুল রায় তৃণমূলে ফেরার পর লাইনে রয়েছেন আরও অনেকে। বেসুরো বিজেপিরও বহু নেতা। সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই বহু বিজেপি নেতাকে ফোন করেছেন মুকুল রায়। এখন বিজেপি অন্দরে একটাই পাঞ্চ লাইন, ‘কার ফোন বাজল?’ বিজেপি যে ভাঙতে চলেছে তা একপ্রকার নিশ্চিত রাজনৈতিক কারবারীরা।

মুকুল রায় আসে প্লেয়ার ক্যাচার। তৃণমূলে ফেরার পরই তিনি তাঁর সেই কাজ শুরু করে দিয়েছেন। বিজেপির একাধিক সাংসদ, বিধায়কদের কাছে ফোন গিয়েছে। কাদের কাছে এই ফোন গেল?‌ তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই বিজেপি সাংসদ নিশীথ প্রামাণিককে ফোন করেছেন মুকুল রায়। কমপক্ষে ১১ জন বিধায়ককেও নাকি ফোন করেছেন মুকুল রায়। শিখা চট্টোপাধ্যায়, মিহির গোস্বামী, সুদীপ মুখোপাধ্যায়, নরহরি মাহাতো, বিশ্বনাথ কারক, পার্থ চট্টোপাধ্যায়, বিশ্বজিৎ দাস, সত্যেন রায়, সুনীল সিং— এঁরা মুকুল রায়ের ফোন পেয়েছেন।

তবে দলে ভাঙন আটকাতে হেভিওয়েট নেতাদের গুরু দায়িত্ব দিয়েছে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। বিধানসভায় বিরোধী দলনেতার দায়িত্ব সামলাবেন শুভেন্দু অধিকারী। পরিষদীয় দল অর্থাৎ নির্বাচিত বিজেপি বিধায়কদের নেতা হবেন শুভেন্দু। রাজ্য বিজেপির সংগঠন থাকবে রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের হাতে। রাজ্যে গুরু দায়িত্ব পেতে পারেন বিষ্ণুপুরের সাংসদ সৌমিত্র খাঁয়ের হাতে। কোচবিহারের নিশীথ প্রামাণিক কেন্দ্রের বড় দায়িত্ব পেতে পারেন।