রেশন দুর্নীতির তদন্তে নেমে আরও তথ্য জোগাড় করল ইডি। এবার ইডির স্ক্যানারে এমআর ডিলার অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যরা। চালকল বা আটাকল থেকে সামগ্রী কেনার পর ডিস্ট্রিবিউটরের মাধ্যমে তা এমআর ডিলার বা রেশন দোকানে পৌঁছয়। রেশনের আটা প্যাকেটে প্রতি কেজিতে বাকিবুর রহমান ৫ টাকা করে কমিশন পেতেন বলে জানতে পেরেছেন তদন্তকারীরা। সেই টাকার সঙ্গে বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের কোনও লেনদেন আছে কি না, তাও খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।
ইতিমধ্যেই রেশন দুর্নীতি মামলায় ধৃত বাকিবুর রহমানের নতুন গোডাউনের হদিশ মিলেছে। প্রায় চার বিঘা জমির উপর একদম নতুন গোডাউন এটি। চার বিঘা জমির বাজার মূল্য প্রায় ১০ কোটি টাকা বলেই মত স্থানীয়দের। নীল সাদা রং-এ সাজানো এই গোডাউনটির ব্যবহার এখনও শুরু হয়নি। মূলত বসিরহাট মহকুমায় চাল কল গড়ে বাম আমলে উত্থান হয় বাকিবুর রহমানের। বাম আমলে উত্তর ২৪ পরগনার জেলা সদর শহরের এক ফরওয়ার্ড ব্লক নেতার স্নেহধন্য হলেন বাকিবুর রহমান।
রেশন দুর্নীতি সামনে আসতেই প্রকাশ্যে আসতে শুরু করে ব্যবসায়ী বাকিবুরের নানান সম্পত্তির হদিশ। সূত্রের দাবি, বাকিবুরের জমির পরিমাণ দেড় হাজার কাঠার বেশি। সাড়ে ৭ হাজার বর্গফুট আয়তনের অন্তত ১০টি ফ্ল্যাটের মালিক তিনি। চালকল মালিক বাকিবুরের জমির পরিমাণ ১ হাজার ৬৩২ কাঠা। যার মধ্যে বেশিরভাগটাই রয়েছে উত্তর ২৪ পরগনা এবং বহরমপুরে। এমনকী বিদেশেও রয়েছে বিলাসবহুল ফ্ল্যাট।