এবার চিনের আগ্রাসনের মুখে পড়ল নেপাল। আর তা নিয়েই এখন আন্তর্জাতিক পারদ সপ্তমে চড়েছে। করোনার মতো সংক্রমণ নিয়ে যখন গোটা বিশ্ব চিন্তিত তখন চিনের আগ্রাসী নীতি নেপালের ক্ষোভের কারণ হয়ে দাঁড়াল। পৃথিবীর সর্বোচ্চ শৃঙ্গ মাউন্ট এভারেস্ট চিনে অবস্থিত বলে দাবি করল বেজিং। তাদের সরকারি সংবাদসংস্থা চায়না গ্লোবাল টেলিভিশন নেটওয়ার্ক (সিজিটিএন) এই দাবি করার পর থেকেই পারদ সপ্তমে চড়েছে। সিজিটিএন এই বিষয়ে একটি টুইট করেছে। চিনের এই দাবির কড়া সমালোচনা করেছে নেপাল।
জানা গিয়েছে, সিজিটিএন টুইটে দাবি করেছে, মাউন্ট এভারেস্ট চিনে অবস্থিত। পরিষ্কার আকাশে চিনের স্বশাসিত অংশ তিব্বতে মাউন্ট কিয়োমোলাঙ্গামো বা মউন্ট এভারেস্ট খালি চোখে দেখা যাচ্ছে। এই টুইটের তীব্র প্রতিবাদ করেছে নেপাল। এমনকী চিনের ব্যাখ্যাও দাবি করা হয় টুইটারে। ১৯৬০ সাল থেকেই মাউন্ট এভারেস্টের দাবি নিয়ে গোলমাল রয়েছে চিন–নেপালের মধ্যে। সম্প্রতি ভারতীয় সেনাবাহিনীর সঙ্গে মুখোমুখি সংগর্ষে জড়িয়ে পড়ে চিনের লালফৌজ। বিশ্বজুড়ে করোনা–থাবার সুযোগ নিয়ে জবরদখল করতে চাইছে চিন বলে মনে করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, ১৯৬০ সালে নেপালের প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন বিশ্বেশ্বর কৈরালা চিন সফরে গিয়ে চাইনিজ কমিউনিস্ট পার্টির তত্কালীন চেয়ারম্যান মাও জেদংয়ের সঙ্গে দেখা করেন। তখন এভারেস্টকে নেপাল ও চিনের মধ্যে দু’ভাগে ভাগ করার প্রস্তাব দেন মাও জেদং। কিন্তু বাস্তবে সেই প্রস্তাব কার্যকর হয়নি বলেই খবর। এখন হঠাৎ এই পরিস্থিতি চিনের পক্ষ থেকে তৈরি করায় জোর চর্চা শুরু হয়েছে আন্তর্জাতিক কূটনৈতিক মহলে।