পুরভোটে দলীয় টিকিট না পেয়ে নির্দলে মনোনয়ন জমা দেন অনেকেই। এবার ভোটের মুখে নির্দল প্রার্থী সহ প্রায় চার শতাধিক কর্মী যোগদান করলেন তৃণমূলে। সোমবার তৃণমূল প্রার্থীদের সমর্থনে বসিরহাট দক্ষিণের বিধায়ক সপ্তর্ষী বন্দ্যোপাধ্যায়, উত্তর ২৪ পরগনা জেলা পরিষদের সদস্য শাহানুর মন্ডল, টাকি টাউন তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি প্রদ্যুৎ দাস, তৃনমূল নেতা ফারুক গাজী সহ একাধিক নেতৃত্ব নির্বাচনী প্রচারে দলীয় সভা করেছিলেন। ঠিক সেসময় মিছিল করে বসিরহাট ১০ নম্বর ওয়ার্ডের নির্দল প্রার্থী রশিদ বিশ্বাস ৩০০ জন কর্মী-সমর্থক ও বসিরহাট পৌরসভার ১১ নম্বর বাজারপাড়া এলাকার শতাধিক সিপিএম,বিজেপি কর্মী-সমর্থক তৃণমূলে যোগদান করেন। অর্থাৎ সব মিলিয়ে এদিন চার শতাধিক কর্মী-সমর্থক তৃণমূলে যোগদান করেন। এরপর তাদের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেন উপস্থিত নেতৃত্বরা।
অপরদিকে ইতিমধ্যে টাকি পৌরসভা জয়ের দোড়গোঁড়ায় পৌঁছেছে তৃণমূল কংগ্রেস। ১৬ আসন বিশিষ্ট পৌরসভার ইতিমধ্যে ৬ টি আসনে সিপিএম, কংগ্রেস, বিজেপি থেকে তাদের মনোনয়নপত্র তুলে নিয়েছে। অর্থাৎ ৬ টি আসন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিতে নিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। নতুন করে এই ১০ নম্বর ওয়ার্ড নির্দল প্রার্থী তৃণমূলে যোগদান করায় এই ওয়ার্ডেও বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়লাভ করল তৃণমূল।
দলত্যাগী নির্দল প্রার্থী রশিদ বিশ্বাস বলেন, “দীর্ঘ ১০ বছর ধরে পুরবাসীদের বিভিন্ন প্রকল্পের সুবিধা দিয়ে আসছি। সব সময় মানুষের দিবারাত্র পরিষেবা দিয়ে এলাকার মানুষের কাছে পৌঁছে গেছি। তৃণমূল কংগ্রেস লক্ষ্মীর ভান্ডার, স্বাস্থ্যসাথী, দুয়ারে রেশন ইত্যাদি সুবিধা সামাজিক প্রকল্পের মাধ্যমে মানুষকে দিয়ে যাচ্ছে। সেই উন্নয়নের ধারাকে বজায় রাখতে আমি আজকে দল থেকে কয়েকশো নেতাকর্মী সমর্থকদের নিয়ে তৃণমূলে যোগদান করলাম।”