সোমবারও একই ছবি ধরা পড়ল ব্যবসায়ী শৈলেশ পাণ্ডের হাওড়ার মন্দিরতলার ফ্ল্যাটে। উদ্ধার প্রায় ৬ কোটি টাকা। সূত্রের খবর, বক্স খাটের ভিতর টাকা লুকিয়ে রাখা হয়েছিল। চার-পাঁচটি ব্যাগ থেকে ৫০০ টাকার নোট উদ্ধার করেন তদন্তকারীরা। ইতিমধ্যেই ফ্ল্যাটটি সিল করে দেওয়া হয়েছে। উল্লেখ্য, রবিবারও তাঁর বাড়ি থেকে নগদ ২ কোটিরও বেশি টাকা উদ্ধার করেন তদন্তকারীরা।
অভিযোগ, প্রতারনাকাণ্ডে মূল অভিযুক্ত শৈলেশ পাণ্ডে পেশায় চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট। মধ্য কলকাতার স্ট্র্যান্ড রোডের একটি বহুতল বাণিজ্যিক বাড়িতে রয়েছে তাঁর অফিস। হাওড়ায় তাঁর তিনটি ফ্ল্যাট রয়েছে। তার মধ্যে শিবপুরের কাউ ঘাট রোডের বাড়িতে তল্লাশি চলে। স্ট্র্যান্ড রোডের অফিসেও হবে তল্লাশি। এদিন বিকেলে ব্যাঙ্কশাল আদালতে শৈলেশকে গ্রেপ্তারির জন্য আবেদন জানায় লালবাজার। তাঁর গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়েছে। তাঁর সন্ধানে চলছে তল্লাশি।
শনিবার কলকাতা হেয়ার স্ট্রিট থানার পুলিশ হাওড়ার শিবপুরের ‘রিভার ডেল’- আবাসনের বাসিন্দা এক ব্যবসায়ীর গাড়ি থেকে উদ্ধার করে ২ কোটি ২১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা। সেই সঙ্গে উদ্ধার হয় বিপুল পরিমান সোনা ও হিরের গয়না। একটি রাষ্ট্রয়ত্ব ব্যাঙ্কের লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতেই অভিযান চালায় পুলিশ।
অভিযোগ, মানুষকে লোন পাইয়ে দেওয়ার নাম করে প্রতারণা করত ওই ব্যবসায়ী। লোন না পেয়ে প্রতারিত কয়েকজন ওই রাষ্ট্রয়ত্ত ব্যাঙ্কের ম্যানেজারের কাছে অভিযোগ জানায়। এরপরই ওই ব্যাঙ্কের তরফে শৈলেশের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হলে শিবপুরের একটি আবাসনে অভিযান চালায় পুলিশ।