গুজরাটের মোরবি সেতু দুর্ঘটনার অন্যতম কারণ খুঁজে বার করলেন বিপর্যয় মোকাবিলা দলের তদন্তকারীরা। এনডিআরএফের মুখ্য অফিসার কম্যান্ডান্ট ভিভিএন প্রসন্ন কুমার জানিয়েছেন, অগভীর জলস্তরের নীচে অসংখ্য পাথরে আছড়ে পড়েই এই বিপুল সংখ্যক মানুষের মৃত্যুর কারণ।
রবিবার সন্ধেয় কয়েকশো মানুষের ভার বইতে না পেরে ভেঙে পড়ে মোরবি এলাকার একশো বছরের পুরনো ব্রিজ। প্রায় ৫০টি শিশু-সহ ১৪১ জনের মৃত্যু হয়েছে নদীতে পড়ে। উদ্ধারকাজের পাশাপাশি শুরু হয় তদন্ত। ইতিমধ্যে অভিযুক্ত ৯ জনকে গ্রেফতারও করা হয়েছে। তার মধ্যেই সামনে এল গুরুত্বপূর্ণ তথ্য। কম্যান্ডান্ট প্রসন্ন কুমার জানিয়েছেন, নদীর দু’ধারেই জলস্তর খুবই কম। কোথাও ১০ ফুট, কোথাও আরও কম। মাঝখানটায় খানিকটা বেশি, ২০ ফুট মতো। এই জলে পড়ার পড়ে ডুবে মারা যাওয়ার সংখ্যা আরও কম হতে পারত।
প্রসঙ্গত, রবিবার সন্ধ্যায় ছট পুজোর প্রার্থনা চলাকালীন হঠাৎই হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে মোরবি জেলার মাচ্ছু নদীর উপরের শতাব্দী প্রাচীন ঝুলন্ত সেতু। মেরামতির কাজের জন্য গত সাত মাস বন্ধ ছিল সেতুটি। প্রায় ২ কোটি টাকা দিয়ে মেরামতির পর গুজরাটি নববর্ষে, অর্থাৎ গত ২৬ অক্টোবর খুলে দেওয়া হয় এই সেতু। এদিন ছট পুজো উপলক্ষে ব্রিজটির উপর প্রায় ৫০০ লোকের জমায়েত হয়েছিল। অত্যাধিক ভিড়ের চাপ সহ্য করতে না পেরেই ভেঙে পড়ে সেতুটি। ভেঙে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে জলে পড়ে যান সেতুর উপরে থাকা সমস্ত মানুষ। মর্মান্তিক এই দুর্ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ১৪৪ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। এখনও নিখোঁজ রয়েছেন অনেকে।